ভাসমান পেয়ারার রাজ্যে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত

দক্ষিণাঞ্চলের অনন্য এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নাম ভীমরুলীর ভাসমান পেয়ারাবাজার। পানির বুকজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ট্রলারভর্তি পেয়ারা, আমড়া আর নানা মৌসুমি ফলের রঙিন দৃশ্য সহজেই মুগ্ধ করে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। ঠিক এমনই এক মনোমুগ্ধকর সকালে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ভীমরুলী গ্রামে সফর করলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল ওয়াহাব আস সায়দানি।
রোববার (২০ জুলাই) বরিশাল থেকে সড়কপথে তিনি পৌঁছান সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের বিখ্যাত ভাসমান পেয়ারা হাটে। এরপর ট্রলারে করে ঘুরে দেখেন বাজারের চারপাশ। রাষ্ট্রদূত বাজারের কর্মচাঞ্চল্য, কৃষকদের পরিশ্রম এবং এখানকার উৎপাদিত পেয়ারার গুণগত মান দেখে গভীরভাবে মুগ্ধ হন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এই পেয়ারা শুধু সুস্বাদুই নয়, আন্তর্জাতিক মানেরও বটে। কীভাবে এই ফল আলজেরিয়ায় রপ্তানি করা যেতে পারে, সে বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করব।’
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি ও পণ্যের বৈচিত্র্য বিশ্ববাজারে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে ঝালকাঠির মতো এলাকায় উৎপাদিত মৌসুমি ফলগুলো পরিবেশবান্ধব চাষাবাদের উজ্জ্বল উদাহরণ।
রাষ্ট্রদূতের সফরসঙ্গী ছিলেন তাঁর কন্যা এলিনা, ব্যক্তিগত সচিব এ কে এম সাইয়েদাদ হোসাইন এবং ফরচুন বরিশাল কোম্পানির কর্ণধার মো. মিজানুর রহমান। সফরের সময় স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ভাসমান পেয়ারাবাজার ঘিরে হাজারো দর্শনার্থীর ভিড় জমে। দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক ও কৃষিভিত্তিক এই পর্যটনকেন্দ্রকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূতের এই সফর নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।
সফর শেষে রাষ্ট্রদূত বরিশালের উদ্দেশে ঝালকাঠি ত্যাগ করেন