বঙ্গোপসাগরে দুই ট্রলারে ডাকাতি, জেলে গুলিবিদ্ধ

নিজেস্ব প্রতিবেদক | ১৮:৩৬, জুলাই ২০ ২০২৫ মিনিট

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির শিকার হয়েছে বরগুনার সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের দুটি ট্রলার। মুখোশধারী ২৫-৩০ জনের হামলায় আট জেলে আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ। ডাকাতির শিকার ট্রলার দুটি হলো এফবি ভাই ভাই ও এফবি রফিক। ঘটনা ঘটে গত শুক্রবার গভীর রাতে, বঙ্গোপসাগরের সোনার চরসংলগ্ন বাইজবার বয়া এলাকায়। গুলিবিদ্ধ জেলের নাম কামাল হোসেন (৩২)। তিনি সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ইউনুস পহলানের ছেলে। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ট্রলার দুটির মালিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাত দিন আগে ৩৫ জন জেলে নিয়ে মাছ ধরতে সাগরে যায় ট্রলার দুটি। শুক্রবার গভীর রাতে মুখোশধারী ডাকাতের দল অস্ত্রের মুখে ট্রলার দুটিতে হামলা চালায়। গুলি ছুড়ে, পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জেলেদের আহত করে। ডাকাতেরা ট্রলারে থাকা প্রায় ২৫ লাখ টাকার মাছ, জাল, জ্বালানি তেল ও জেলেদের ব্যবহৃত প্রায় ৩০টি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। শনিবার সন্ধ্যায় আহত জেলেসহ ট্রলার দুটি বরগুনার নলী বাজারসংলগ্ন চড়কগাছিয়া ঘাটে ফিরে আসে। পরে কামাল হোসেনকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মোস্তফা কামাল বলেন, কামাল হোসেনের দুই পায়ে অসংখ্য পিলেট ঢুকে আছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পিলেটগুলো অপসারণ করতে হবে। ভাই ভাই ট্রলারের মালিক মাসুম হাওলাদার বলেন, ‘ঘাটে আসার আগে জেলেরা সাধারণত ফোন করে জানায়। কিন্তু এবার সরাসরি বাড়িতে এসে জানায় যে ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। মোবাইল ফোনসহ অনেক মালামাল নিয়ে গেছে ডাকাতেরা। প্রায় ১০-১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’ এফবি রফিক ট্রলারের মালিক জাহাঙ্গীর মোল্লা বলেন, ‘ডাকাতির সময় পাঁচ-ছয়জন জেলে আহত হন। ট্রলারের মেশিন ভাঙচুর ও মাছ-জালসহ স্টাফদের মোবাইল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতের দল।’ বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়াকুব হোসাইন বলেন, ‘থানা এলাকায় যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে এবং লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ বিষয়ে পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড স্টেশন থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি।