‘১৬ বছর মানুষ ভোট দেখেনি, তাদের স্মৃতিতে কেন্দ্রে মারামারি-ভোট চুরি’

এ.এ.এম হৃদয় | ২২:৪০, জুলাই ০৯ ২০২৫ মিনিট

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘১৬ বছর মানুষ ভোট দেখেনি, ভোটারদের স্মৃতিতে আছে ভোটকেন্দ্রে মারামারি, ভোট চুরি। আগামী নির্বাচনে ভোটারদের যেন একটা ভালো অভিজ্ঞতা হয়, একটা সুন্দর স্মৃতি থাকে, প্রথম ভোট যারা দেবে এটা তাদের জন্য গৌরবের। সে যেন ভালো অনুভব করে।’ বুধবার (৯ জুলাই) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে প্রেস সচিব এসব তথ্য তুলে ধরেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আগে যে ধরনের নির্বাচন হয়েছিল সেটা ছিল লোক দেখানো নির্বাচন। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে একটা প্রকৃত নির্বাচন কী করে আয়োজন করতে হয়, সেটার ট্রেনিং দিতে হবে। কার কী ভূমিকা সেটা পরিষ্কার থাকতে হবে। দরকার হলে রিহার্সেল নির্বাচন করতে হবে, যাতে অনুশীলন হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‌‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে হবে, এর অর্থ হলো নির্বাচনের জন্য যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দরকার সেটা প্রস্তুত করতে যা কিছু প্রয়োজন তা এখন থেকেই শুরু করতে হবে। নির্বাচনের পর্যাপ্ত লোকবল আছে কিনা এটা খুব খুব দ্রুত জানতে হবে। যদি নতুন নিয়োগ করতে হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া এখন থেকে শুরু করে দিন। তাদের জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করুন, প্রতিদিন ট্রেনিং হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করতে হবে।’ ‘টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়া ভোটারদের জন্য নির্বাচনের নিয়ম বর্ণনার ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে বলেছেন। যাতে ভোটাররা প্রশিক্ষিত হতে পারে। টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওগুলো প্রচার করতে হবে। জরুরি নম্বরগুলো সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে, যাতে কোনো ভোটারের সুবিধা হলে সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিতে পারে। কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে ভোটাররা যাতে সরাসরি কানেক্ট থাকতে পারে।’ নারীদের ভোটার অধিকারের বিশেষভাবে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, অর্ধেক ভোটার নারী, কেউ যেন ভোটের অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করতে না পারে। এজন্য পর্যাপ্ত নারী সদস্য কর্মকর্তা মোতায়েন থাকতে হবে। ১৬ বছর মানুষ ভোট দেখেনি, ভোটারদের স্মৃতিতে আছে ভোটকেন্দ্রে মারামারি, ভোট চুরি। আগামী নির্বাচনে ভোটারদের যেন একটা ভালো অভিজ্ঞতা হয়, একটা সুন্দর স্মৃতি থাকে, প্রথম ভোট যারা দেবে এটা তাদের জন্য গৌরবের। সে যেন ভালো অনুভব করে।