পুলিশের লাঠিচার্জে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ২০ শিক্ষার্থী আহত

নিজেস্ব প্রতিবেদক | ২২:১৩, জুলাই ০৯ ২০২৫ মিনিট

বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সম্মুখে বরিশাল-ভোলা সড়কে এই লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা সড়কটি অবরোধ করে রাখলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (বিআইটি) আদলে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গঠনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সরকার তাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় সর্বশেষ বুধবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা বরিশাল-ভোলা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে সড়কের দুই প্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হলে দেখা দেয় জনভোগান্তি। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সরে গিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার অনুরোধ রাখেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সাফ জানিয়ে দেন, দাবি বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত তারা সড়ক থেকে সরছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার একপর্যায়ে দুপুরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এবং আন্দোলনরতদের ছত্রভঙ্গ করে রাস্তা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে। পুলিশের এই লাঠিচার্জে অন্তত ২০ আন্দোলনকারী আহত হলেও তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী ধ্রুব বিশ্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির আদলে একটি কার্যকর, টেকসই ও স্বায়ত্তশাসিত কমিশন গঠনের দাবিতে আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে। এরই অংশ হিসেবে বুধবার মহাসড়ক অবরোধ করা হলে বন্দর থানা পুলিশ সরে যেতে বলে। কিন্তু দাবি বাস্তবায়নের আগে আন্দোলনরত রাস্তা ছাড়ছে না জানিয়ে দেওয়া হলে তারা লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হন, তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলছেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের নামে সড়ক অবরোধ করে জনভোগান্তি তৈরি করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী গিয়ে তাদের সড়ক ছেড়ে দিতে বলেন, কিন্তু তারপরেও তারা সরছিলেন। পরে পুলিশ গিয়ে একই অনুরোধ রাখলে তাও প্রত্যাখান করে শিক্ষার্থীরা। এবং তারা পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পানির বোতল-ইট ছুড়ে মারতে থাকেন। এরপরে তাদের লাঠিচার্জ করে সড়ক থেকে হঠিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়, জানান ওসি।’