টানা বর্ষণে ঢাকা-বরিশালের মহাসড়কে খানাখন্দ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২১:৪২, জুলাই ০৯ ২০২৫ মিনিট

আষাঢ় মাসের শুরু থেকে টানা বর্ষণে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে দেখা দিয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। বৃষ্টির কারণে সড়কের খানাখন্দে পানি জমে যাওয়ায় খানাখন্দের গভীরতা বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে এবং প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে এই মহাসড়কে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে খানাখন্দের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রায় এক মাস ধরে টানা বর্ষণে চরম বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বরিশালের বাকেরগঞ্জ অংশের প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা। মহাসড়কের অধিকাংশ এলাকায় এখন খানাখন্দ হওয়ায় চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এমন পরিস্থিতিতে যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তির পাশাপাশি প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের দপদপিয়া, বুড়িরহাট, শিমুলতলা, খেজুরতলা, বাখরকাঠি, বোয়ালিয়া, আউলিয়াপুর, বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, ভাঙ্গাপোল, লক্ষীপাশা—এইসব স্থানে সড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে পিচ ঢালাই উঠে গিয়ে বর্ষার পানিতে জমে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সড়কের পাশ ধসে গিয়ে সড়ক দেবে গেছে। আর এই সকল গর্তের উপর দিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করছে। এ রুটে প্রতিনিয়ত চলাচল করা দূরপাল্লার পরিবহনের চালক, স্টাফ ও সচেতন বরিশালবাসী মনে করছেন, মহাসড়কটি দীর্ঘ বছরের পুরোনো। বর্তমানে প্রতিনিয়ত চলাচল করা কয়েক হাজার যানবাহনের ধারণক্ষমতা এ মহাসড়কের নেই। যে কারণেই সংস্কারকাজ স্থায়ী হচ্ছে না। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত সরু মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার জন্য গোটা দক্ষিণাঞ্চলবাসী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে বরিশাল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে মহাসড়কের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টি কমে এলেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে সংস্কারকাজ করা হবে।