রাতের ভোট আয়োজনে সাহায্য করেছে গোয়েন্দা সংস্থা

নিজেস্ব প্রতিবেদক | ১৯:৫৭, জুলাই ০২ ২০২৫ মিনিট

২০১৮ সালের নির্বাচনে গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দিনের ভোট আগের রাতেই সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছেন তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি এ তথ্য জানান। বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার এক গণমাধ্যমকে বলেন, সিইসির এই স্বীকারোক্তি আদালতে রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি বলেন, তখন নির্বাচনের সময় পার হয়ে গেছে, জানতে পারলাম, কিছু কেন্দ্রে ৩০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়েছে। তখন নিশ্চিত হই, আগের রাতেই ভোট দেওয়া হয়েছে। আমাদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে। আমাদেরকে কিছুই জানতে দেওয়া হয়নি। পরে আমি অনুতপ্ত হয়েছি। আমার তখন কিছুই করার ছিল না। নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা ছিল না। গোয়েন্দা সংস্থা রাতের ভোট আয়োজনেও সহায়তা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা রাতের ভোট আয়োজনেও সহায়তা করেছে। তারা সবকিছু তাদের মতো করে করেছে। মাঠপর্যায়ের সব কর্মকর্তাই তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীনের অধীনে ছিলেন, তার কথা মতো সবাই কাজ করতো। তিনি সবাইকে প্রভাবিত করতেন। উল্লেখ্য, গত ২২ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে আটক করা হয়। এদিন স্থানীয় জনগণ তাকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরদিন প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২৭ জুন চার দিনের রিমান্ড শেষে একই মামলায় পুনরায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত।