কাউনিয়ায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে অপরাধীরা, প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানোর দাবি

এ.এ.এম হৃদয় | ২২:০৪, জুন ২৮ ২০২৫ মিনিট

বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানাধিন এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে অপরাধীরা। ফলে বাড়ছে চুরি‚ ছিনতাই, ধর্ষণ, মাদক কারবার ও খুনসহ নানা নজিরবিহিন ঘটনা। স্থানীয়দের দাবি- আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারীর অভাবে অপরাধের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে কাউনিয়া। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- মাদক সেবন‚ মাদক বেচা-কেনা‚ মোবাইল ফোনে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে কিশোর ও যুবকরা জড়িয়ে পড়ছে এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। থানা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পরই বিভিন্ন অলিগলির মোড়ে মাদক বেচা-কেনা‚ রাত গভীর হলে চুরি ও ছিনতাই নিত্যদিনের ঘটনা। এদিকে স্বর্ণ প্রতারক চক্রের সদস্যরাও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত তাদের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে গ্রাম থেকে শহরে আসা বহু মানুষ। আর এই চক্রের অভয়াশ্রম হলো কাউনিয়া। কাউনিয়া থানাধিন এলাকার মূল মূল সড়কে প্রশাসনের নজরদারীর জন্য সিসি ক্যামেরা না থাকায় বাড়ছে নানা অপরাধ ও মাদক কারবারিদের অবাদ বিচরন। হরহামেশাই ঘটছে ছিনতাই ও চুরি মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। তাই কাউনিয়া থানাধিন বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানো ও মূল সড়কগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দা। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়- কাউনিয়া থানাধিন মূল সড়কগুলোতে প্রশাসনের নজরদারীর জন্য নেই সিসি ক্যামেরা। নগরীর আমানতগঞ্জ ‚ টেক্সটাইল মোড়‚ কাউনিয়া হাউজিং‚ পিছনের স্কুল‚ মিরা বাড়ি‚ পুরান পাড়া, বেলতলা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার মূল মূল সড়কগুলোতে সিসি ক্যামেরা না থাকায় বাড়ছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। নেই কোন থানা পুলিশের পর্যাপ্ত টহল ও চেক পোস্ট। তারা আরও জানায়- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাদক বিক্রির স্পটগুলোতে মাঝে মাঝে অভিযান করলেও কিছুদিন পর রহস্যময় ভাবে সাবেক হয়ে যায় মাদক বিক্রির স্পটগুলো। কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় মাদকের সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ কারণেই মাদক ব্যবসায়ীরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। বর্তমানে কাউনিয়া থানাধিন এলাকাগুলো পরিণত হয়ে উঠেছে চুরি, ছিনতাই, মাদক বেচা-কেনা সাম্রাজ্যে। ফলে খুব সহজেই মাদক বিক্রিতে জড়িয়ে পড়ছে তরুণ সমাজ। আরও বলেন, পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যাবসায়ীরা ছাড়াও চলমান দেশের পেক্ষাপটে নতুন ভাবে অনেক মাদক ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।তাই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। কাউনিয়া থানা পুলিশের তথ্য মতে- গত দুই মাসে থানায় দুটি খুনের মামলা, ৩টি চুরি মামলা, ৯ টি মাদক মামলা‚ ৩টি ধর্ষণ মামলা ও একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। কাউনিয়া থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল নিশাত বলেন, চুরি, ছিনতাই, মাদক বেচা-কেনা আমার থানাধীন এলাকায় জিরো টলারেন্স করার জন্য প্রতিনিয়ত অফিসার কাজ করে যাচ্ছেন। কোনো ভাবেই মাদক ব্যবসা, চুরি, ছিনতাই এর সঙ্গে জড়িতদের কোন ভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন- বিশেষ করে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপরাধ মূলক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।