প্রকাশ্যে ঘুরছে হামলাকারীরা দিচ্ছে হুমকি, পুলিশ বলছে পলাতক!

নিজেস্ব প্রতিবেদক | ১৯:৫৪, জুন ২৩ ২০২৫ মিনিট

বরিশাল শহরের কাউনিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিপা রানী ও তার স্বজনদের পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখমের মামলায় অভিযুক্তদের এক সপ্তাহেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গত ১৪ জুন মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানাধীন ২ নং ওয়ার্ডের নাপিতবাড়ি কলোনিসংলগ্ন নিপা রানীসহ তার স্বজনদের কুপিয়ে জখম করে একই এলাকার সাব্বির (৩৫) এবং দোলনসহ কজন যুবক, যারা বিগতদিনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিল। সেই ঘটনার দুদিনের মাথায় অর্থাৎ ১৬ জুন কাউনিয়া থানা পুলিশ ৩২৬সহ বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা গ্রহণ করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের ভূমিকা রাখার আশ্বাস দেয়। কিন্তু এরপরে সাতদিন কেটে গেলেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে সফলতা পায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত দোলন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা অসীম দেওয়ানের অনুসারী এবং সাব্বির বিএম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মঈন তুষারের ক্যাডার হিসেবে সমাধিক পরিচিত। ৫ আগস্টের আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ তারা দুজন এলাকায় নিপা রানীর পরিবারের ওপর হামলায় করায় এলাকাবাসীও তাদের ওপর ক্ষুব্ধ। এই মামলার বাদী নিপা রানীর অভিযোগ, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র স্থানীয় সাব্বির, দোলন এবং সুজিতসহ ৪/৫ জনে মিলে তাদের ওপর হামলা করে। তখন হামলাকারীদের প্রতিরোধে প্রসেনজিৎ সোম, মালা রানী সিংহ এবং সমন্বয় এগিয়ে গেলে তাদের লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এবং একপর্যায়ে তাদের সাথে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে প্রসেনজিৎ এবং মালাকে জখম করে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এই ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এমনকি মামলা করার পরে সপ্তাহখানেক সময় অতিবাহিত হলেও তাদের আইনে আওতায় আনতে পারেনি পুলিশ। বাদীর অভিযোগ, হামলাকারী সাব্বির, দোলন এবং সুজিত দাস (৩৫) এলাকায় ঘুরছেন। এবং প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে তাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। বিষয়টি কাউনিয়া থানা পুলিশকে একাধিকবার অবহিত করেও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় একাধিক সূত্রও হামলাকারীদের এলাকায় অবস্থান এবং ঘোরাঘুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আহত মালা রানীর অভিযোগ, তার স্বামী সঞ্জিবকে একাধিকবার ফোন করে হুমকি দিয়েছে অভিযুক্ত দোলন। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কোতয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের নির্লুপ্তায় ক্ষুব্ধ বাদী অভিযোগ করেন, আসামিরা কখন কোথায় অবস্থান করছেন, তা নিশ্চিতভাবে জানানোর পরেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যার দরুণ অভিযুক্তরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং হুমকি-ধামকি দেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে। তবে মামলাটি তদন্তকারী কাউনিয়া থানা পুলিশের এসআই শহিদুল ইসলাম দাবি করেছেন, ঘটনার পর থেকেই হামলাকারীরা আত্মগোপনে আছেন। তাদের ধরতে তদন্তকারী কর্মকর্তা একাধিক স্থানে একাধিকবার অভিযান চালিয়েছেন। কিন্তু বাগে আনা যাচ্ছে না।’