বরিশালের উজিরপুরে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের ভিআইপি সড়কের বাসা থেকে বৃহস্পতিবার তিন সন্তানের জননী আলেয়া বেগমের লাশটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকালে মরদেহে কোনো পোশাক ছিল না, পুলিশ রহস্যজনক প্রাণবিয়োগের ঘটনাটিকে সন্দেহের চোখে দেখছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আলেয়ার ছেলে রাজধানী ঢাকায় চাকরি করে করেন এবং দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। নুরে আলমের স্ত্রী আলেয়া একাই উজিরপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের ভিআইপি সড়কের বাসায় বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয়রা আশপাশ দিয়ে চলাচলের প্রাক্কালে দুর্গন্ধ পায়। তখন কৌতুহলবশত উঁকি দিয়ে বাসার অভ্যন্তরে মেঝেতে বৃদ্ধার নিথর দেহ পরে থাকতে দেখেন। সাথে সাথে থানায় খবর দিয়ে পুলিশ গিয়ে বস্ত্রহীন লাশটি উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, পুলিশ লাশটি উদ্ধারকালে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া ও মুখ গামছায় আবদ্ধ ছিল। তখন পরনে কোনো পোশাক ছিল না।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এবং এই ঘটনাটি অন্তত ২/১ দিন আগে হয়, যার কারণে মরদেহে পচন ধরেছে।
তবে এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য হেতু কী এবং এতে কারা জড়িত তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হতে না পারলেও উজিরপুর থানার ওসি আব্দুস সালাম বলছেন, ঘটনার জোরালো তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’