কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করে পিকআপ থেকে বের করা হলো দ্বিতীয় লাশটি
ঝালকাঠিতে বাসের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত পিকআপ ভ্যানটিতে আটকে থাকা দ্বিতীয় লাশটি কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বের করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা লাশটি উদ্ধার করে আজ শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
আজ আনুমানিক বেলা পৌনে ১টায় রাজাপুর উপজেলায় বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষ হয়। রাজাপুর-ভান্ডারিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পাকাপোল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মো. মশিউর রহমান (৬৫) ও সুয়াজ (৪২) নামে দুজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাজাপুর ফায়ার সার্ভিস ও থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। আরেকজনের লাশ দুমড়েমুচড়ে যাওয়া পিকআপ ভ্যানের ভেতরে আটকে যায়। তিন থেকে চার ঘণ্টা চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা লাশটি উদ্ধার করে থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত দুজনের বাড়ি মাগুরায়। তাঁরা দুজনেই পিকআপ ভ্যানের চালক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিকআপটি ভান্ডারিয়া থেকে রাজাপুরগামী ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির হানিফ পরিবহনের একটি বাস পিকআপটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই একজন প্রাণ হারান। গুরুতর আহত অপরজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। দুর্ঘটনার পর কিছু সময় ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাহুল জানান, আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসা শুরুর এক-দুই মিনিটের মধ্যেই তিনি মারা যান। তাঁর আঘাত মারাত্মক ছিল।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পিরোজপুরের উপসহকারী পরিচালক এবং ঝালকাঠির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মাদ সেলিম মিয়া। এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, লাশ দুটি বর্তমানে রাজাপুর থানায় রয়েছে। স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরা এসে পৌঁছানোর পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।