বরিশালে চলছে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:৩৩, মে ১৪ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশের মত বরিশালেও শুরু হয়েছে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম। আদালত পরিচালনার প্রথম দুইদিনে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট অধিনস্থ ছয় কোর্টে ৫৩ টি মামলার জামিন শুনানি নিস্পত্তি হয়েছে। জামিন পেয়েছেন ৪৭ আসামী। সরকারের এ সিদ্ধান্তে খুশি অধিকাংশ আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা। বরিশাল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে জানা গেছে, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জরুরী জামিন সংক্রান্ত বিষয় সমুহ নিস্পত্তির জন্য নিম্ম আদালতগুলোতে গত ১০ মে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে নির্দেশনা আসে। নির্দেশনা পাবার পরই শুরু হয় ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম। বিভিন্ন মামলার হাজতী আসামীদের জামিন আবেদন গ্রহনের জন্য বরিশাল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহিবুল হাসান এর অধীনে ছয়টি আদালত গঠন করা হয়। এর মধ্যে উজিরপুর ও গৌরনদী থানা এলাকার মামলা নিস্পত্তির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোর্টের বিচারক হলেন অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: আমিনুল ইসলাম, বাকেরগঞ্জ থানা এলাকার মামলা নিস্পত্তির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোর্টের বিচারক হলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: এনায়েত উল্লাহ, মেহেন্দীগঞ্জ ও কাজিরহাট থানা এলাকার মামলা নিস্পত্তির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোর্টের বিচারক হলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মাহফুজ আলম, বানারীপাড়া, বাবুগঞ্জ ও মুলাদী থানা এলাকার মামলা নিস্পত্তির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোর্টের বিচারক হলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান, আগৈলঝাড়া ও হিজলা থানা এলাকার মামলা নিস্পত্তির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোর্টের বিচারক হলেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মওদুদ আহমেদ এবং বিদ্যুত আদালতের এখতিয়ারাধীন এলাকার মামলা নিস্পত্তির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোর্টের বিচার কার্য পরিচালনা করবেন বিদ্যুত আদালতের বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মো: মাসুদুর রহমান। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মো: সুমন হাওলাদার জানান, আদালত গঠনের পর থেকেই আইনজীবীরা জামিন শুনানির আবেদন দাখিল করতে থাকেন। ১৩ মে বুধবার পর্যন্ত এই সকল আদালতে ৬৭ টি জামিন আবেদন করা হয়। ওই দিন ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে ১৮টি জামিন আবেদনের শুনানি সম্পন্ন হয়। ১৮ টি আবেদন মঞ্জুর করে ২১ আসামীকে জামিন দেন সংশ্লিষ্ট বিচারকরা। ১৪ মে বৃহষ্পতিবার ৩৫ টি জামিন আবেদন শুনানির মাধ্যমে নিস্পত্তি করা হয়। এদিন ২০ মামলায় ২৬ জন আসামীকে জামিন প্রদান করেন আদালত। তবে অধিকাংশ আইনজীবীরা এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষন করেন। তাদের মতে অনলাইনে সিষ্টেম অনুযায়ী আমরা নিম্ন কোর্টে আবেদন করি ঠিকই। কিন্তু বেঞ্চসহকারীদের খামখেয়ালীপনা ও অভিজ্ঞতার অভাবে বিভিন্ন সময় তাদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইনজীবী বলেন, অনলাইনে আবেদন করলাম কিন্তু বেঞ্চসহকারীর কাছে গেলে বলে ফাইল আসেনাই, পুনরায় প্রেরণ করেন, কিংবা বলে ফাইল খুজেই পাইনা, ভার্চুয়াল বাদ দিয়ে সরাসরি আমাদের ই-মেইলে ডকুমেন্ট গুলো প্রেরণ করেন। কিন্তু প্রফাইল খুলে দেখা যায় আমাদের আবেদন ঠিক ঠিক মতো সার্ভারে প্রেরণ করা হয়েছে। যার কারনে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ সমস্যাগুলো শুধু নিম্ন কোর্টেই হচ্ছে। তবে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভার্চুয়াল কার্যক্রমের বিষয়ে অধিকাংশ আইনজীবীরা ভূয়শী প্রশংসা করেন।