রিপোর্ট দেশ জনপদ: পাইকারি বাজারে ছোলার দাম কমতে কমতে অস্বাভাবিক অবস্থায় পৌঁছেছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানিকৃত ছোলা এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫৮-৬০ টাকায়। সরকার ভর্তূকি দিয়ে ট্রেডিং কর্পোরেশনের (টিসিবি) মাধ্যমে ট্রাকে করে ছোলা বিক্রি করছে ৬০ টাকা কেজিতে। অথচ ভোগ্যপণ্যের সবচে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ছোলা বিক্রি হচ্ছে এরচেয়ে দুই টাকা কম দামে। রমজান মাসে এতোকম দামে ছোলা বিক্রির রেকর্ড নেই বলে জানান ব্যবসায়ীরা। সূত্র জানায়, প্রতিবছর রমজান ঘিরে শবেবরাতের পর থেকেই ছোলা নিয়ে চলে শোরগোল। দাম বাড়ানোর জন্য চলে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের প্রতিযোগিতা। চাহিদার চেয়ে আমদানি বেশি হলেও দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা চলে। এবার ছোলার দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ও প্রশাসনকে পদক্ষেপ নিতে হয়নি। করোনা পরিস্থিতিতে নানা সংকটে দাম পড়ে গেছে। প্রতিবছর দেশে ছোলার চাহিদা থাকে এক লাখ টনের বেশি। এর ৮০ ভাগই রমজান মাসে বিক্রি হয় বলে ব্যবসায়ীরা জানান। খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী তৈয়বিয়া ট্রেডার্সের মালিক সোলায়মান বাদশা বলেন, ‘করোনাভাইরাস আতঙ্ক শুরুর পর থেকেই হুজুগে পড়ে বড় সংখ্যক ক্রেতা পণ্য কিনে ফেলেছেন শবেবরাতের আগেই। শবেবরাত থেকে রমজান পর্যন্ত বেচাকেনা একেবারে কমে গেছে। এখনতো বাজারে ছোলার ক্রেতার দেখা নেই।’আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘শুধু ছোলা নয় মসুর ডাল, খেসারি ডালের দাম ও বিক্রিতে ধ্বস নেমেছে। যখন দাম বাড়ে তখন প্রশাসনের অভিযান চলে। এখন বাজারে ধ্বস নেমেছে, কেউ লোকসানের জন্য সহমর্মিতা জানাতেও আসেন না।’ জানা গেছে, খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে সোমবার অস্ট্রেলিয়ার ভালো মানের ছোলা বিক্রি হয়েছে মন প্রতি ২২শ টাকা। অর্থাৎ কেজি সাড়ে ৫৮ টাকা। এর চেয়ে ভালো মানের ছোলা বিক্রি হচ্ছে মন প্রতি ২৩শ টাকায়। দক্ষিন আফ্রিকার ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৮ টাকায়। গত পাঁচবছরে খাতুনগঞ্জে এত কমদামে ছোলা বিক্রির রেকর্ড নেই। তবে পাইকারি বাজারে দাম কমলেও পুরোপুরি সুফল ভোক্তারা পাননি। কারণ খুচরা বাজারে এখন ছোলা বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭৫ টাকায়।