বাউফলে ব্যবসায়িকে ব্লাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ নারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে
এ.এ.এম হৃদয়|১৮:৫৬, মে ১১ ২০২৫ মিনিট
পটুয়াখালীর বাউফলে এক ব্যবসায়ি ও সাবেক ইউপি সদস্যকে মারধর করে অচেতন অবস্থায় নারী শিক্ষকের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়ার মতো ঘটনা সাজিয়ে ব্লাকমেইল করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে দিলরুবা পপি নামে এক নারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (০৯ মে) রাতে অভিযুক্ত ওই নারী শিক্ষক ও তার ছেলেসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দাখিল করেছেন সূর্যমণি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক একজন সাবেক ইউপি সদস্য ও ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দীন সিকদার।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার সূর্যমণি ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিলরুবা পপি’র জমি ক্রয় করার জন্য ভুক্তভোগী ব্যবসায়ি শাহাবুদ্দিন গতবছরের মে মাসে বায়না করেন। বায়না সূত্রে বিভিন্ন মেয়াদে ২৩ লাখ টাকা অগ্রীম নিয়ে নেয় অভিযুক্ত শিক্ষিকা দিলরুবা পপি।
ওই শিক্ষিকা বিনিময়ে স্টাম্প ও ব্যাংক চেক প্রদান করেছিলেন ব্যবসায়ি শাহাবুদ্দিনকে। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলে জমির রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য চাপ দেন শাহাবুদ্দিন। তখন সপ্তাহ খানের মধ্যে বায়নার অর্ধেক জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার কথা বলেন অভিযুক্ত শিক্ষক দিলরুবা পপির। জমির দাখিলা তোলার জন্য তার ছেলে জিহাদের বিকাশের মাধ্যমে ১০হাজার টাকাও নেন ওই শিক্ষিকা।
গত ৪মে জমির দলিলের বিষয়ে কথা আছে বলে শাহাবুদ্দিনকে জরুরি ভাবে বাসায় আসতে বলে ওই শিক্ষিকা। পরে ৫মে ভুক্তভোগী শাহাবুদ্দিন ওই শিক্ষিকার পৌর শহরের বাংলাবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় গেলে তাকে (শাহাবুদ্দীন) অভিযুক্ত শিক্ষিকা ও তার ছেলেসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন তাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন৷
তাকে বাসার একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে শিক্ষিকার দেয়া স্টাম্প, ব্যাংক চেক ও নগদ দেড় লাখ টাকা আদায় করেন অভিযুক্তরা। ঘটনার সময় ওই শিক্ষক নারীর সাথে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়। তাকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড করতে সেখানে যায় বলে স্বীকারোক্তি মূলক ভিডিও ধারণ করা হয় বলেও এজাহারে উল্লেখ করেছেন শাহাবুদ্দিন।
এ বিষয় জানতে অভিযুক্ত নারী শিক্ষকের বাসায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত ও তার ছেলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে এবং খুদে বার্তা পাঠিয়েও সারা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আখতারুজ্জামান সরকার বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।