পিরোজপুরে দুদিন অনশনের পর প্রেমিকের সঙ্গে এক সন্তানের জননীর বিয়ে
দেশ জনপদ ডেস্ক|২১:২৪, মে ০৮ ২০২৫ মিনিট
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিয়ের দাবিতে অনশনের দুদিন পর প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে এক সন্তানের জননীর।বুধবার (৭ মে) রাতে উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামে প্রেমিকের পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়।
প্রেমিকের নাম অসিম রায় (২৬)। তিনি ওই গ্রামের অধির রায়ের ছেলে।
স্থানীয় ও গৃহবধূর পরিবার সূত্র জানায়, নবম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় অসিমের সঙ্গে প্রেম হয় তার। কিন্তু প্রেমের ১২ বছরে আশ্বাস ছাড়া কিছুই পায়নি ওই নারী। পারিবারিক চাপে দুইবার অন্যত্র বিয়ে, একটি কন্যা সন্তানের জন্ম, আবার বিচ্ছেদ সবই মেনে নিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র প্রেমিক অসিমকে ভালোবেসে। শেষ পর্যন্ত আর সহ্য না করে গত দুদিন ধরে অসিমের বাড়িতে অনশন করেন তিনি। পরে দুই পরিবারের সম্মতিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বুধবার রাতে হিন্দু রীতিনীতি মেনে বিয়ে হয়।
ওই নারী বলেন, আমার সঙ্গে ১২ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় আমাদের প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়েছে। আমার ইচ্ছে না থাকা স্বত্বেও,পরিবার প্রথমে একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেন। সেখানে ৭ দিন থেকে চলে আসছি। পরে কচুয়া উপজেলার বানবাড়িয়া এলাকায় আরও একটি ছেলের সঙ্গে জোর করে দেয় দেয়। এখানে একটি মেয়ে সন্তান হয় আমার। অসিম রায় বলায় সে স্বামীকেও ডিভোর্স দিয়ে চলে আসি। তখন বাবার বাড়িতে প্রায় ৩ বছর ছিলাম। এখানে আমার কাছে অসিম মাঝে মধ্যে আসতো। বার বার বিবাহের কথা বললেও সে আমাকে বিবাহ করেনি। যার জন্য আমি অসিমের বাড়িতে এসে অনশনে বসেছিলাম। দুদিন ধরে অনশনে বসার পরে অসিমের পরিবার বাধ্য হয়ে অসিমের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হয়। এর পর বুধবার রাতে আসিমের সঙ্গে আমার বিবাহ সম্পন্ন হয়।
ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নের মেম্বার আমজাদ হোসেন বলেন, অসিম কুমারের বাড়িতে এক সন্তানের মা বিয়ের দাবিতে অনশন করেছিল। বুধবার রাতে দুই পরিবারের সম্মতিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর নিয়ম অনুযায়ী প্রেমিক ও প্রেমিকার বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন বলেন, এক সন্তানের মা বিয়ের দাবিতে অনশন করেছিলেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দুই পরিবারের সম্মতিতে ছেলে ও মেয়ের বিবাহ দিয়েছে।