পটুয়াখালীতে কনেপক্ষের ‘কানভারি’ করায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে মারলো বরপক্ষ!

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২২:২৯, মে ০৫ ২০২৫ মিনিট

পটুয়াখালী সদর উপজেলার বিয়ের কথোপকথনকে কেন্দ্র করে বারেক ফকির (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের উপর হামলা চালিয়েছে ছেলে পক্ষ। শনিবার জোহরের নামাজের পর স্থানীয় মোল্লা বাড়ি মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন রোববার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত পাত্রের বাবা আজহার খানকে গ্রেপ্তার করেছে। মৃত বারেক ফকির (৬৫) লোহালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। রোববার বিকালে নিজ বাড়িতে মারা যান বারেক ফকির। প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরের নামাজ শেষে আজহার খানের বড় ছেলে আব্দুর রহমানের বিয়ের বিষয়ে খোঁজ নিতে আসে মেয়েপক্ষের পরিবার। তারা প্রতিবেশী বারেক ফকিরের কাছ থেকে ছেলের ও তার পরিবারের খোঁজখবর নেন। পরে তারা চলে যান। বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয় ছেলে আব্দুর রহমান ও তার ভাই আরিফ। বৃদ্ধ বারেক ফকিরের ওপর হামলা চালায় দুই ভাই। তারা দুজনে ওই বৃদ্ধকে রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়রা বারেক ফকিরকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে সেই হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নেওয়ার জন্য বলে। পরে রোববার বিকালে তাকে বাড়ি আনা হলে সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। মৃতের ছেলে সুমন ফকির বলেন, ‘বিয়ের প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ায় রহমান ও তার ভাই আরিফ আমার বাবাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তাকে হাসপাতালে নিলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না। আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালাই। অভিযুক্ত আজহার খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’