মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি, নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার
নিজেস্ব প্রতিবেদক|২২:২৫, মে ০৩ ২০২৫ মিনিট
বরিশালের বাকেরগঞ্জে কুদ্দুস হাওলাদার নামের এক তরমুজ চাষিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারটি।
শনিবার (৩ মে) দুপুর ১টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। নিহতের স্ত্রী আকলিমা আক্তারের (মামলার বাদী) পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তার মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১৬)।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমার স্বামী ছিলেন একজন কৃষক। অন্যের জমিতে বর্গাচাষ করতেন। চলতি বছর আমাদের বসতবাড়ির পাশে ৫০ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষাবাদ করেছিলেন। আমি এবং আমার স্বামী দুজনে মিলে তরমুজ ক্ষেত দেখাশোনা করতাম। চলতি বছরের ৩ এপ্রিল দুপুরে ক্ষেত থেকে তরমুজ চুরি করে নিয়ে যান স্থানীয় আনোয়ার হোসেন চৌকিদার, সানি, ফয়সাল চৌকিদার, হিরণ চৌকিদার, মাসুদ চৌকিদার, মিরাজ মোল্লা, সরোয়ার চৌকিদার, মতিউর রহমান মানিক মাস্টার, হারুনসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৪-৫ জন। তরমুজ নিয়ে যাওয়ার সময় আমার স্বামী তাদের বাধা দিলে তারা তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৪ এপ্রিল তিনি মারা যান। ঘটনার দিন রাতেই অভিযুক্তদের আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
মামলার বাদী বলেন, ঘটনার একমাস পার হয়ে গেলও পুলিশ একজন আসামিও ধরতে পারিনি। তবে অন্য এক ঘটনায় করা মামলার ২ নম্বর আসামি কারাগারে রয়েছেন। আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় তারা বিভিন্ন উপায়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে এ অবস্থায় ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাকেরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক বলেন, আসামিদের ধরা হচ্ছে না, বিষয়টি তেমন না। এ মামলায় আসামি সানিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৬৪ ধরায় তার জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।