বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে আন্দোলন দমাতে শিক্ষার্থীদের নামে জিডি!
এ.এ.এম হৃদয়|১৯:৪০, এপ্রিল ২৯ ২০২৫ মিনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দমাতে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন।
জানা গেছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের নির্দেশে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সানোয়ার পারভেজ লিটন বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এর আগে বেশ কিছু দিন ধরে ফ্যাসিবাদের দোসর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামের পদত্যাহসহ ৪ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে। পরে তার কার্যালয় তালাবদ্ধ করা হয়।
জানা যায়, এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিজে বন্দর থানার ওসিকে ফোন করে ১০ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সানোয়ার পারভেজ লিটনকে বাদী করে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সানোয়ার পারভেজ আমাদের কাছে ১০ জন শিক্ষার্থীর নামে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তবে কোনো মামলা হয়নি।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এম. ডি শিহাব বলেন, এর আগের ভিসি ফ্যাসিবাদের পুর্নবাসনের জন্য শিক্ষার্থীদের নামে মামলা দায়ের করেছে। উনি ভেবেছেন, এভাবে মামলা দিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের ভয় দেখিয়ে এই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদের আতুরঘর বানাবেন। উনি হয়তো ভুলে গেছেন ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই এই ভিসি চেয়ারে বসেছেন। তাই শেখ হাসিনা স্টাইলে শত হামলা মামলা করে এই যৌক্তিক আন্দোলন দমানো যাবে না।
এ বিষয়ে সিকিউরিটি অফিসার সানোয়ার পারভেজ লিটন বলেন, আমি শুধু ওপর মহলের আদেশ মেনেছি মাত্র। রেজিস্ট্রারের রুমে শিক্ষার্থীরা তালা মেরেছে এ কারণেই কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে আমার পক্ষ থেকে জিডি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনিকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
জিডিতে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- ইংরেজি বিভাগের রাকিন খান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নাজমুল ঢালী, লোকপ্রশাসন বিভাগের মোকাব্বেল শেখ, আইন বিভাগের তরিক হোসেন, ইংরেজি বিভাগের মিজানুর রহমান, এনামুল হক ও তরিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগরে এমডি শিহাব, কোস্টাল স্টাডিজ বিভাগের স্বপ্নীল অপূর্ব রকি, রসায়ন বিভাগের রফিক।