নারী সংস্কার কমিশন বিলুপ্তির দাবিতে বরিশালে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ

এ.এ.এম হৃদয় | ২০:৪৫, এপ্রিল ২৫ ২০২৫ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইসলামী উত্তরাধিকার ও পারিবারিক আইন নারীর প্রতি বৈষম্যের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে নারী সংস্কার কমিশনের দেয়া সুপারিশসহ পুরো কমিশন বিলুপ্তি ঘোষণার দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে হেফাজতে ইসলাম বরিশাল জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৫ দফা দাবি জানিয়ে নেতাকর্মীরা নগরীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় গত শনিবার দেশের প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের দেয়া কোরআন বিরোধী একাধিক সুপারিশ বাতিলের দাবি জানানো হয়। এছাড়া শাপলা চত্বরসহ সকল গণহত্যার দ্রুত বিচার, হেফাজতে ইসলামের নেতাদের নামে আওয়ামী লীগের দেয়া মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়। আগামী ৩ মে এর মধ্যে দাবি মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও বরিশাল জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন বরিশাল মহানগর সভাপতি শেখ সানাউল্লাহ মাহমুদি, সহসভাপতি শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, গত শনিবার অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের বেশকিছু সুপারিশ ইসলাম বিরোধী। হেফাজতের ন্যায্য দাবিগুলো উপেক্ষা করে কুরআন ও ইসলামী বিধান পরিপন্থী আইন প্রণয়নের প্রচেষ্টা দেশের জনগণ মেনে নেবে না। বিশেষ করে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত অনেক সুপারিশ সরাসরি কুরআনের বিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ফলে এসব সুপারিশ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি সরকার অবিলম্বে এ কমিশন বিলুপ্তি ঘোষণা সহ অন্যান্য দাবি মেনে না নেয়, তাহলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতো এ সরকারকেও ক্ষমতাচ্যুত করা হবে। হেফাজতে ইসলামের পাঁচ দফা দাবি হচ্ছে— আওয়ামী শাসনামলে শাপলা চত্বরের গণহত্যাসহ সকল গণহত্যার দ্রুত বিচার হেফাজতের নেতাদের নামে দেয়া মামলা প্রত্যাহার সংবিধান সংস্কার কমিশনের বহুত্ববাদের প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও আস্থা ফিরিয়ে আনা নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় আপত্তিকর ধর্মীয় বিধিবিধান বাতিল করা ভারতের পার্লামেন্টে সম্প্রতি পাস হওয়া ওয়াকফ আইন সংশোধনী বাতিল এবং মুসলিম নির্যাতন বন্ধ করা। এছাড়া, ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে।