পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

বরগুনার বেতাগীতে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক তরুণের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মো. মশিউর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে থানা-পুলিশ। তিনি বেতাগী উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম।
বৃহস্পতিবার মশিউরকে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বেতাগী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান।
থানা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের চাকরি দেওয়ার জন্য বেতাগী উপজেলার রানীপুর এলাকার রনি মৃধার মা লুৎফা বেগমের সঙ্গে মশিউরের মৌখিকভাবে সাত লাখ টাকায় চাকরির চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী চাকরি না হওয়ায় এবং মশিউর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করলে ভুক্তভোগী পরিবার প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারে। পরে ভুক্তভোগী পরিবারটি এই বিষয়টি বরগুনা পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন।
এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বেতাগী থানা-পুলিশ মো. মশিউর রহমানকে আটক করে। পরে বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে চাকরিপ্রত্যাশী রনি মৃধার মা লুৎফা বেগম বাদী হয়ে মশিউরের নাম উল্লেখ করে বেতাগী থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় মশিউর রহমানকে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখায়।
মামলার বিষয় জানতে বাদীর মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবদুল হালিম বলেন, পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে কোনো আর্থিক লেনদেন হয় না। সাধারণ মানুষ সচেতন হলে প্রতারকেরা প্রতারণা করার সুযোগ পাবে না। পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে এক তরুণের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে মশিউর নামের এক ব্যক্তির নামে মামলা হয়েছে। আগেই আটক থাকা ওই ব্যক্তিকে ওই মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।