ঈদের ছুটির আট দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩২

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:৪২, এপ্রিল ০৬ ২০২৫ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : এবার ঈদের ছুটির আট দিনে (২৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল) সারাদেশে ১১০টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ১৩২ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২০৮ জন। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে মারা গেছেন ৩২ জন। সংখ্যার দিক থেকেও সড়ক দুর্ঘটনা ঢাকা বিভাগে বেশি, ২৭টি। এ তথ্য সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)। বিআরটিএ সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। বিআরটিএর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩১ মার্চ (ঈদের দিন)। সড়কে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুও হয়েছে সেদিন। ঈদের দিন সারাদেশে ১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়। ঈদের পরদিন (১ এপ্রিল) সড়কে মৃত্যু হয় ১৯ জনের। এর পরদিন ২ এপ্রিল দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২২ জনের মৃত্যু হয়। বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, ঈদের ছুটির আট দিনে ঢাকা বিভাগের পর সড়কে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে, ৩১ জন। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে ২৩, রাজশাহী বিভাগে ১৪, রংপুর বিভাগে ১১ ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ সময়ে সড়কে সবচেয়ে কম মৃত্যু সিলেট ও বরিশাল বিভাগে। এর মধ্যে সিলেটে মারা গেছেন ৫ জন আর বরিশালে মারা গেছেন ৬ জন। বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, ২৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে, যার সংখ্যা ২৭। এসব দুর্ঘটনায় ৮৪ জন আহত হন। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে ১৯টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭টি, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ১৪টি করে, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৭টি করে ও সিলেট বিভাগে ৫টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। গত দুই ঈদে পরিস্থিতি কেমন ছিল: বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুনে ঈদুল আজহার সময় (১১-২৩ জুন) ১৩ দিনে সারা দেশে সড়কে নিহত হন ২৩০ জন ও আহত হন ৩০১ জন। ওই সময় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ২৩৫টি। অন্যদিকে গত বছরের এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতরের সময় (৪–২০ এপ্রিল) ১৭ দিনে সারা দেশে ২৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত হন ও আহত হন ৪৬২ জন। এবার ঈদে কোন ধরনের যানবাহন সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, সেই তথ্য অবশ্য বিআরটিএর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নেই। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, চালক, যানবাহন, সড়ক—সবকিছু সঠিক থাকার পরও যখন কোনো ঘটনা ঘটে, সেটি দুর্ঘটনা। কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটার জন্য সব উপাদান বিদ্যমান থাকার পর যে ঘটনা ঘটে, সেটি কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। তবে এবার ঈদযাত্রায় ভোগান্তি সেভাবে ছিল না বলে উল্লেখ করেন সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, এবার তুলনামূলকভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি—দুটোই কম হয়েছে। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় যাঁর পরিবারে একজন মারা গেছেন, তাঁদের জন্য সেটাই অনেক বড় কিছু। তাই সড়ক নিরাপদ করার জন্য সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।