বিদ্যুৎ বিতরণ ও সরবরাহে অব্যবস্থা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৬:২১, মে ১০ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীসহ জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা চরম বিপর্যয়ের কবলে পরেছে। ফলে পবিত্র রমজান মাসে চরম ভোগান্তিতে পরেছে লাখ লাখ গ্রাহক। গত কয়েকদিন থেকে আকাশে মেঘ জমলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। সূত্রমতে, চলতি মৌসুমে নগরীসহ জেলার কয়েকটি এলাকার ওপর দিয়ে ছোট ও মাঝারি কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার পর বিদ্যুৎ নিয়ে চরম বিপাকে পরতে হয়েছে নগরবাসী। গত ৭ মে সন্ধ্যার পর ৩৫ কিলোমিটার বেগের ঝড়ে নগরীসহ ঝালকাঠী জেলার বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ ছিল গভীর রাত পর্যন্ত। যেকারণে বিদ্যুৎবিহীন ভোগান্তির মধ্যদিয়েই রোজাদারদের তারাবি নামাজসহ অন্যান্য কাজ করতে হয়েছে। সূত্রে আরও জানা গেছে, নগরীর প্রায় ২২টি ১১/.০৪ কেভি ফিডারের মাধ্যমে পৌনে দুই লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছে ওজোপাডিকোর দুটি বিতরণ বিভাগ। সাথে রয়েছে ছয়টি ৩৩ কেভি ফিডার কিন্তু জরাজীর্ণ বিতরণ ও সরবারহ লাইনসহ ১১ কেভি ও ৩৩কেভি লাইনগুলোর কারণে নগরবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। এর সাথে ওভারলোডেড ট্রান্সফর্মার এবং তার নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নগরীর বিদ্যুৎ সরবারহ ও বিতরন ব্যবস্থার কোন উন্নতি হচ্ছেনা। তবে এসব কিছুর সাথে নগরীর মূল কেন্দ্রে স্থলের বাইরের এলাকার ফিডারগুলোর সংস্পর্শে আসা গাছপালাকে দায়ী করেন বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ লাইন থেকে নিরাপদ দূরত্বে গাছপালা লাগাতে জনসাধারণকে অবহিত করার কাজটিও করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছেন না বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ফলে সামান্য বাতাসেও সরবারহ ও বিতরণ লাইনের কাছের গাছপালার ঝাপটায় নগরীর একাধিক ফিডারে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে যেসব ফিডারের লাইনের কাছে গাছপালা নেই সেগুলোতেও বিদ্যুৎ সরবারহ নিরবচ্ছিন্ন নয়। বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক কর্মকর্তাসহ নগরীর বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা নগরীর বিদ্যুৎ বিতরণ ও সরবরাহ লাইনের উন্নয়ন ও ব্যাপক সংস্কার ছাড়াও যত দ্রুত সম্ভব নগরীর ১১ কেভি ও ৩৩ কেভি লাইনসমূহ ভূগর্ভে স্থাপনের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন। একই সাথে প্রতিটি ১১ কেভি ফিডার নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যেমেও গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করাসহ প্রতিটি অভিযোগ কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক যানবাহনসহ কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করারও তাগিদ দিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওজোপাডিকোর দায়িত্বশীল সূত্রের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজটি চলমান রয়েছে। পুরনো লাইন পরিবর্তনসহ সংস্কার কাজও চলছে। নগরীতে আরও তিনটি ৩৩/১১ কেভি সাব-স্টেশন নির্মান কাজও শুরু হয়েছে। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এসব কাজ শেষ হলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটবে বলেও সূত্রটি দাবি করছেন। অপরদিকে নগরীর বাহিরে জেলার অধিকাংশ উপজেলায় সামান্য আকাশে মেঘ জমলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছেন পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ। ফলে পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।