বরিশালে শপিংমল বন্ধ রাখলে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতার আশ্বাস

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৬:০৬, মে ১০ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সাধ্যমতো সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে যে সকল শপিংমল মালিক ও কর্তৃপক্ষ ঈদ-উল ফিতর পর্যন্ত নিজ নিজ দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের কর্মচারীদের তালিকা জেলা প্রশাসনে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। শনিবার ০৯ মে দিবাগত রাতে ফেসবুকের নিজস্ব আইডিতে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেছেন চৌকস জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। পাশাপাশি একইদিন জেলা প্রশাসক আবেগঘণ আরেকটি পোস্টে উল্লেখ করেন, অর্ধশতে পৌঁছে গেলাম। এই মাসটা সবাইকে বাসায় থাকার অনুরোধ করছি। জীবনে কেনাকাটার অনেক সুযোগ পাওয়া যাবে। আপনার ঈদের বাজেট হোক অসহায় একটি পরিবারের বেঁচে থাকার সম্বল। সূত্রমতে, শনিবার রাতে জেলায় নতুন করে আরও এক যুবকের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় এনিয়ে মোট ৫০ জনের শরীরের করোনা শনাক্ত হয়েছে। অপরদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ রবিবার ১০ মে সকাল থেকে বরিশালে মার্কেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নগরীর চকবাজার দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা। শেষ পর্যন্ত শনিবার রাতে সমিতির নেতৃবৃন্দরা ঈদের আগে মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা তাদের এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনকে রাতেই অবহিত করেছেন। শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে চকবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রহিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জীবন ও জীবিকার মধ্যে জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে ঈদ উপলক্ষে দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরআগে রাতেই বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর আহবানে সারা দিয়ে বৈঠকে বসেন সমিতির নেতৃবৃন্দরা। এসময় মেয়র করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে জনস্বার্থে দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন। মেয়রের আহবানে সারা দিয়ে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দও ঐক্যমত পোষণ করেছেন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ জেলা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, দোকান কেউ খুলতে না চাইলে সেটা তার নিজস্ব এখতিয়ার। তবে খোলা রাখলে সরকারের নির্দেশনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে নিয়মানুসারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।