পিরোজপুরে বালু ব্যবসার বিরোধে বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা, ছোট ভাইয়ের পা বিচ্ছিন্ন!

কামরুন নাহার | ২০:১৩, মার্চ ২৫ ২০২৫ মিনিট

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় জমি ও বালুর ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে আবু সালেহ (৩৭) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় পা বিচ্ছিন্ন গুরুতর আহত আরও একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পাতলাখালী গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু সালেহ পাতলাখালী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে। আবু সালেহ’র ছোট ভাই আবুল বাশার রুবেলের (২৭) একটি পা কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রেক্সোনা বেগম নামের একজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। নিহত আবু সালেহ’র বোন আফসানা মিমি জানান, রাত আড়াইটার দিকে আমার চাচাতো ভাই শহিদুল ইসলাম সুমন, রুম্মান তাদের সহযোগি মোঃ নজরুল ইসলাম, বাবুল চৌকিদার, মোঃ নান্না, মোঃ লিটন মোঃ মিরাজ, মোঃ সবুজ, মোঃ মাসুম শরিফসহ অনুমান ১০-১৫ জন দলবদ্ধ হয়ে আবুল বাশার রুবেলের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এতোপাতারি কুপিয়ে জখম করে। তার ডাক চিৎকারে তার বড় ভাই আবু সালেহ এবং তার স্ত্রী সোনালী আক্তার ঘর থেকে বের হয়ে রুবেলের ঘরের কাছে গেলে আবু সালেহকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে রাখে। নিহত আবু সালেহ’র স্ত্রী সোনালী আক্তার জানান, আমরা ঘরে ঘুমে ছিলাম, রাতে আমার দেবরের রুবেলের ডাক চিৎকার শুনে আমার স্বামী আবু সালেহ ও আমি ঘরে থেকে বের হয়ে তার ঘরে গিয়ে দেখি সুমনসহ আরো লোকজন রুবেলকে কুপিয়ে ফেলে রাখে। এসময় সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে সামনে পেয়ে আমার স্বামী আবু সালেহকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। আমার পায়েও হাতুরি দিয়ে আঘাত করে ঘরে প্রবেশ করে আলমিরা ভেঙে সম্প্রতি সুপারি বিক্রির ১ লক্ষ টাকা ও দুই ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণাঙ্কার নিয়ে যায়। আমরা তাৎক্ষনিক ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে ভাণ্ডারিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবু সালেহ এবং আবুল বাশার রুবেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। পথেই মারা যান আবু সালেহ। মোঃ আবুল বাশার রুবেল মুমুর্ষু অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ আনওয়ার জানান, জায়গা জমি ও বালুর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আমরা রাতেই তাদের উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবু সালেহ এবং আবুল বাশার রুবেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পথে আবু সালেহ মারা যায়। এ ঘটনায় সুমনের স্ত্রী রেক্সোনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। বাকী অপরাধীদের ধরতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।’’