সিদ্ধান্ত বদল, বন্ধ থাকছে নগরীর মার্কেট

কামরুন নাহার | ০০:০৪, মে ১০ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামীকাল বরিশালে মার্কেট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বরিশাল চকবাজার দোকান মালিক সমিতি। তবে সেই সিদ্ধান্ত আকস্মিক স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার ৯ মে সন্ধ্যারাতে পুলিশ প্রশাসনের সাথে বরিশাল শহরের ব্যবসায়ীদের বৈঠক শেষে অনানুষ্ঠান সিদ্ধান্তের বিষয়টি শোনা গেছে। তবে গির্জা মহল্লা, চকবাজার, মহসিন মার্কেট, বাজার রোড ও কাটপট্টি রোডে ব্যবসায়িক নেতারা রোববার বৈঠক করে প্রশাসনকে অবহিত করার পরে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণ আসতে পারে। ব্যবসায়ীদের একাধিক সূত্র জানায়- প্রথমে শহরের মাকের্ট খোলা রাখার ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখলে অন্তত ৬ টি শর্ত মেনে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সারা দেশের করোনা দুর্যোগে ব্যবসায়ীরা মাকের্ট বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ার পরে শনিবার বরিশাল নগরীর ব্যবসায়ীরাও মত পরিবর্তন করেন। এবং শহরের মার্কেট বন্ধ রাখার বিষয়টি কার্যকর করতে অনুরোধ রাখেন। এনিয়ে দ্বিতীয় দফা বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় রোববার সন্ধ্যা রাতে পুলিশের শীর্ষ সারির কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসেন ব্যবসায়ী নেতারা। পুলিশ ও ব্যবসায়িক নেতারা জানান, করোনা সংক্রামণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে জনসমাগম হওয়ার বিষয়টি অবহিত করে ওই বৈঠকে ব্যবসায়ীরা ঈদে মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানান। এবং তা কার্যকরে পুলিশ-প্রশানের সহযোগিতা কামনা করেন। ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া চকবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি শেখ তোবারক হোসেন দেশজনপদকে জানান, সন্ধ্যারাতের বৈঠকে তারা সিদ্ধান্ত বদলের বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করলেও শহরের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সমন্বয় করে চূড়ান্তভাবে জানাতে বলেছেন। ফলে রোববার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। মূলত সেই বৈঠকের পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কেট বন্ধ রাখার ঘোষণা আসতে পারে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিকে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে দোকান মালিকদের সাথে ইতোমধ্যে বৈঠক করা হয়েছে। সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত জানাতে। বলেছি। অপরদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ জেলা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান জানান, দোকান কেউ খুলতে না চাইলে সেটা তার নিজস্ব এখতিয়ার। তবে খোলা রাখলে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলতে হবে।তা না হলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উল্লেখ্য চকবাজার, কাটপট্টি, লাইন রোড, হেমায়েত উদ্দিন রোড ও পদ্মাবতি এলাকায় মালিক সমিতির প্রায় ৫ শতাধিক দোকান রয়েছে এবং এটি বরিশালের শপিংয়ের কেন্দ্রস্থল।