বরগুনা জেলের চালের তালিকায় প্রবাসীর নাম

কামরুন নাহার | ১৮:১৫, মে ০৯ ২০২০ মিনিট

বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনার পাথরঘাটায় দরিদ্র জেলের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জেলে তালিকায় সৌদি প্রবাসীসহ জেলে নয় এমন লোকের নাম উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক জেলের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সৌদি প্রবাসীসহ ৪ জনের চাল বিতরণ বন্ধ করেছে। তদন্ত অব্যাহত আছে বলে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন। জানা যায়, সরকার জাটকা মাছ ধরায় বিরত জেলেদের নামে ভিজিএফ প্রকল্পের আওতায় পরিবার প্রতি ৪০ কেজি করে চার মাসব্যাপী খাদ্য সহায়তা প্রদান করে থাকে। পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের ১ হাজার ৯০১ জন তালিকাভুক্ত জেলে। তারমধ্যে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৮০জনের নামের অনুকুলে জেলে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। এ চাল বিতরণে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহজালালের বিরুদ্ধে ৮০ কেজি চালের বিপরীতে ৫০ থেকে ৬০ কেজি দেওয়ার অভিযোগ করেছে একাধিক ভুক্তভোগি জেলে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে থাকেন এবং কবির পিতা জাবেদ খান নামে সৌদি আবরবে থাকেন এমন ব্যক্তির জেলে পরিচয়ে চাল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকার এক ভুক্তভোগি জেলে পাথরঘাট  উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ইউএনও সরেজমিন গিয়ে চাল জব্দ করা হয়েছে। ভুক্তভোগি জেলে মো. শহিদ বেপারী, সজল ঢালী ও মহিবুল্লাহ বলেন, ২ মাসের ৮০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ৫০ থেকে ৬০ কেজি চাল দেয় মেম্বার। এ বিষয় ট্যাগ অফিসার এবিএম জাহিদ হোসেন বলেন, সঠিকভাবেই চাল বিতরণ করা হয়েছে। তবে ইউপি মেম্বার শাহজালালের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ জনের চাল জব্দ করে বিতরণ স্থগিত করেছেন ইউএনও স্যার। এ বিষয় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, ৪ জনের নাম অন্য তালিকায় থাকায় চাল জব্দ করা হয়েছে। তবে চাল কম দেওয়ার কোন সুযোগ নেই এবং কম দেওয়া হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন কবির বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. শাহজালাল বলেন, আমার প্রতিদ্বন্ধী মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। তবে ৪ জনের নাম নিয়ে আপত্তি থাকায় তাদের চাল ইউএনর নির্দেশনা মোতাবেক স্থগিত রাখা হয়েছে। সৌদি প্রবাসী ব্যক্তি নাম তিনি দয়া করে দিয়েছে বলে জানান।