বনশ্রীতে স্বর্ণ ডা’কা’তি: পটুয়াখালীর ছাত্রলীগ ও শ্রমিকদলের নেতা গ্রেফতার
নিজেস্ব প্রতিবেদক|২১:৪৬, মার্চ ০৯ ২০২৫ মিনিট
রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ডাকাতির চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত ৬ জনের মধ্যে দুইজনের পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে একজন পটুয়াখালীর বাউফলের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা আমিনুল ইসলাম ও অন্যজন শ্রমিকদল নেতা সুমন মোল্লা। এর মধ্যে আমিনুল পেশাদার ডাকাত এর আগেও তাকে দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (৮ মার্চ) তাদের গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হলে স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়।
গ্রেপ্তার আমিনুল ইসলাম বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের নতুন ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার বাসিন্দা ইকবাল মৃধার ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য। এছাড়াও গ্রেপ্তার সুমন মোল্লা একই ইউনিয়নের পাশের গ্রাম ‘আয়নাবাজ কালাইয়ার’ বাসিন্দা শাহজাহান মোল্লার ছেলে। তিনি কালাইয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সহ-দফতর সম্পাদক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর আগে ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল একাধিক ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে ছিলো। একের পর এক ডাকাতির ঘটনার পর জেলা পুলিশের কয়েকটি টিমের যৌথ তদন্তে আন্তঃবিভাগ ডাকাল দল শনাক্ত হয়। অভিযান চালিয়ে ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর আমিনুলসহ ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ডাকাত দলকে আশ্রয় দেয়াসহ অস্ত্রের জোগানদাতাও ছিলেন আমিনুল। এছাড়া একাধিক ডাকাতির নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি। পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিতে এ অভিযোগ স্বীকার করেছিল আমিনুল। বিভিন্ন সূত্রে থেকে ওই দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তাদের পরিচয় জানাতে গিয়ে কেউ নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে ব্যস্ত থাকতেন আমিনুল ইসলাম। স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরিচিত ও প্রভাবশালী নেতা তিনি। এদিকে আমিনুল গ্রেপ্তারের পর তার সাথে সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, আ’লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ফিরোজ পুত্র রায়হান সাকিব, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ আওয়ামী নেতার সঙ্গে একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাউফল উপজেলা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক হাসান মাহমুদ মঞ্জু বলেন, আমি ওনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। উনি কমিটিতে কিভাবে আসলো বলতে পারছি না। তবে ইউনিয়ন শ্রমিকদলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে বহিষ্কারের জন্য। ইতিমধ্যে কার্যক্রম চলছে।
এ বিষয়ে বাউফল থানার পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম বলেন, আমিনুল পেশাদার ডাকাত এবং তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এর আগেও তাকে দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।