বরিশালের দপদপিয়া সেতুর লোহার পাত খুলে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা

এ.এ.এম হৃদয় | ২০:১৭, মার্চ ০৩ ২০২৫ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর ওপর নির্মিত দপদপিয়া সেতু ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি খুলে দেয়া হয়। সেতুর দুটি স্প্যানের সংযোগ মজবুত করতে মাঝখানে দেয়া হয় লোহার পাত। তবে ছয় মাস আগে সেতুর চরকাউয়া অংশের লোহার পাত খুলে নিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। রাজধানী ঢাকা থেকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা, বরগুনা ও ভোলায় যাতায়াত সহজ করতে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও এখন সেটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে যানবাহনচালকরা বলছেন, লোহার পাত খুলে নেয়ায় ওই স্থান ফাঁকা হয়ে গেছে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ বলছে, বিষয়টি তাদের নজরে আসেনি। তবে দ্রুত সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সওজ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে দপদপিয়া সেতু উদ্বোধন করা হয়। প্রায় ২০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু দিয়ে ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কে কয়েক হাজার ভারী যানবাহন চলাচল করছে। ২০০৬ সালের অক্টোবরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে কাজটি শেষ হয়। সে সময় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়। তবে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকার নাম পরিবর্তন করে দপদপিয়া সেতু নামকরণ করে। পরিবহনচালক আল-আমিন বলেন, ‘ছয় মাস ধরে ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নজর দিচ্ছে না। লোহার পাত দ্রুত স্থাপন করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।’ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নাঈম বিন সিরাজী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সেতুতে লোহার পাতটি নেই। বিষয়টি সওজ বিভাগের নজরে আসেনি। সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্দ থাকলেও পাতটি স্থাপন করা হচ্ছে না।’ বরিশাল নদী-খাল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিপলু বলেন, ‘সেতুর দুই স্প্যানের মাঝখানে থাকা লোহার পাত খুলে নিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। এখন যান চলাচলে সমস্যার পাশাপাশি বড় ধরনের দুর্ঘটানা আশঙ্কা রয়েছে। সেতুর নিচে কোনো সংকেত বাতিও নেই। এ অবস্থায় জাহাজের ধাক্কায় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’ এ ব্যাপারে সওজ বিভাগের বরিশাল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি। সেতুর চরকাউয়া অংশটি গুরুত্বপূর্ণ। সরজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর সেতুর নিচে পিলার বা গার্ডার সুরক্ষা ব্যবস্থাও অনেক সেতুতে থাকে আবার অনেকটায় থাকে না। এটায় আছে কিনা তাও দেখা হবে।’