পিরোজপুর পৌরসভার অধিকাংশ খাল দখল, আবর্জনার ভাগাড় ড্রেন

এ.এ.এম হৃদয় | ১৮:৩৭, ফেব্রুয়ারি ২৪ ২০২৫ মিনিট

প্রায় দেড়শত বছরের পুরনো পিরোজপুর পৌরসভার ৪২টি খালের অধিকাংশই ইতিমধ্যেই গ্রাস করে নিয়েছে দখলদাররা। আর প্রায় ৬০ কিলোমিটার ড্রেন ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ফলে মশা এবং জলাবদ্ধতায় নাকাল পৌরবাসী। পিরোজপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ঝালকাঠি ভারান খাল। দেখে বোঝার উপায় নেই, এক সময় এই খাল থেকে বড় বড় নৌকা চলাচল করত। যা দখল আর দূষণে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পিরোজপুর ১৮৮৫ সালে ইউনিয়ন থেকে পৌরসভায় উন্নীত হয়। দেশের পুরাতন পৌরসভাগুলোর মধ্যে পিরোজপুর অন্যতম হলেও পরিকল্পিতভাবে হয়নি এর নগরায়ন। যথাযথ নিয়ন্ত্রণ না থাকায় প্রায় ৩০ বর্গ কিলোমিটারের এ পৌরসভার ৪২টি খালের মূল শহরের মধ্যের অধিকাংশ খাল দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। ফলে যত্রতত্র স্থাপনা হওয়ায় একদিকে যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি চলাচলের স্বাভাবিক গতি, অন্যদিকে পানির গতি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে খাল। ফলে পৌরসভা পড়েছে জলাবদ্ধতায়। অন্যদিকে ড্রেনগুলোকে ময়লার ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করায় শহরের অধিকাংশ ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে পৌরসভার খাল ও ড্রেনগুলো পরিনত হয়েছে মশা আর রোগ জীবাণুর সূতিকাগারে। পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, ‘পৌর এলাকার খালগুলো দখল এবং দূষণে আশপাশে যারা আমরা বসবাস করি মশা এবং গন্ধে ঘরে থাকার মতো পরিবেশ নেই। যে যার মতো খাল দখল করে দোকান, বাগান এমনকি বসতঘর তৈরি করে ফেলেছে। যার ফলে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে মশা আর গন্ধে থাকা যায় না। খালগুলো এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।’ পিরোজপুর পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত বণিক বলেন, দখলকৃত খাল পুনরুদ্ধার ও পুনর্খননের উদ্যোগ নিয়েছে পৌরসভা। পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বনি আমিন বলেন, ‘অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে খালগুলো পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়া হবে শিগগিরই। বরাদ্দ সাপেক্ষে অতি দ্রুতই খালগুলো দখলমুক্ত করা হবে। খালগলো আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।’ ৩০ বর্গ কিলোমিটারের এ পৌরসভায় লক্ষাধিক জনগণের বসবাস রয়েছে। আর পৌরসভার ৪২টি খালের অধিকাংশই ইতিমধ্যে বেদখল হয়ে গেছে।