বরগুনার তালতলীতে দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জব্দ করা গাঁজা থানায় জমা না দিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত দুজন হলেন- তালতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুশান্ত ও কনস্টেবল হৃদয়। তবে তাঁরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ছোটবগী ইউনিয়নের ঠংপাড়া এলাকায় মাদক কারবারি নান্টুকে ধাওয়া দেন এসআই সুশান্ত বিশ্বাস ও কনস্টেবল হৃদয় হোসেন। তখন নান্টু তাঁর সঙ্গে থাকা ১ কেজি ৯০০ গ্রাম গাঁজাসহ একটি স্কুলব্যাগ ফেলে পালিয়ে যান। দুই পুলিশ সদস্য ব্যাগটি জব্দ করে অটোরিকশায় ওই স্থান ত্যাগ করেন। গতকাল শনিবার আরেক মাদক কারবারি শহীদুল ইসলামের কাছে ওই গাঁজা থেকে ৫০০ গ্রাম ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
শহীদুল বলেন, ‘কনস্টেবল হৃদয় আমাকে ফোন করে গাঁজা বিক্রি করবেন বলে জানান। আমি ৫০০ গ্রাম গাঁজা ১০ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। কনস্টেবল হৃদয় আমার কাছে গাঁজা দিয়ে টাকা নিয়ে গেছেন। এসআই সুশান্ত সবই জানেন।’
এ বিষয়ে কনস্টেবল হৃদয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক-পুলিশ বন্ধুর মতো। বিষয়টি নিয়ে সামনে না এগিয়ে বাদ দেন।’
অন্যদিকে এসআই সুশান্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার ওই দিন ডিউটি ছিল না। মামলার তদন্তকাজে গিয়েছিলাম। তখন শুনলাম গাঁজা বিক্রি হচ্ছে। তবে নান্টু নামের ওই গাঁজা ব্যবসায়ীকে ধাওয়া দিলে তিনি অটোরিকশা রেখে পালিয়ে যান। থানায় জমা না দিয়ে ওই অটোরিকশা স্থানীয়দের জিম্মায় রেখে এসেছি।’ গাঁজা বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়ে সুশান্ত কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’