পটুয়াখালীতে জন্মদিন উদ্যাপনের কথা বলে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম
নিজেস্ব প্রতিবেদক|২০:০১, ফেব্রুয়ারি ১২ ২০২৫ মিনিট
পটুয়াখালীতে জন্মদিন উদ্যাপনের কথা বলে ডেকে নিয়ে এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে জেলা শহরের বনানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীর নাম মো. ইব্রাহিম খলিল (১৬)। সে পটুয়াখালী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও পৌর এলাকার সবুজবাগ ৬ নম্বর লেনের মুজিবর মোল্লার ছেলে। তাকে গতকাল দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হামলায় আহত মো. ইব্রাহিম খলিলের কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসা থেকে সবুজবাগ মোড়ের একটি দোকানে মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড করতে আসে সে। এ সময় একটি অটোরিকশায় করে স্থানীয় মনির শুভ, তাঁর ছোট ভাই ছাত্রলীগের কর্মী মো. হীরা, হীরার বন্ধু সাব্বিরসহ সাত থেকে আটজন তাকে তুলে নিয়ে যান। এরপর বনানী এলাকার একটি নির্জন স্থানে নিয়ে তাঁরা প্রথমে তাকে মারধর এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। তাঁরা ইব্রাহিমের ডান হাতের তিনটি আঙুল ও দুই পায়ের রগ কেটে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যান।
হামলার এক ঘণ্টা পর পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান ইব্রাহিমকে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করে দ্রুত পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ইব্রাহীমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
ঘটনার পর ইব্রাহিমের ওপর হামলায় জড়িতদের আটক করতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এই কারণে পলাতক থাকায় হামলা চালানোর অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত মনির শুভ, তাঁর ছোট ভাই ছাত্রলীগের কর্মী মো. হীরা, হীরার বন্ধু সাব্বিরের সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এরপর অবস্থার অবনতি হওয়ায় দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ইব্রাহিমকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইব্রাহীমের সঙ্গে থাকা ছাত্রদল নেতা মাহফুজুর রহমান ও আসিফ ইকবাল মাহমুদ তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, ঘটনার পরপর খোঁজখবর নিতে পুলিশ হাসপাতালে গিয়েছিল। ভুক্তভোগীর পক্ষে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে ওই ছাত্রের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে।