বাবুগঞ্জে ভাতিজার হাতে চাচা খুন, ১২ দিন পর লাশ উদ্ধার

এ.এ.এম হৃদয় | ২১:২৫, ফেব্রুয়ারি ১১ ২০২৫ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় মাহাবুব হাওলাদার নামে এক ট্রলার চালক এর মরদেহ উদ্ধার করেছে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে সন্ধ্যা নদীর মোল্লার হাট পয়েন্ট থেকে মাহাবুব এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মাহাবুব হাওলাদার উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মন্ডপাশা গ্ৰামের সেকেন্দার আলী হাওলাদারের ছেলে। মাহাবুব হাওলাদারকে তার ভাই শহিদুল ইসলাম ও তার ছেলে সুজনসহ ৬ জন মিলে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর মাহবুবের মরদেহ পাথরের সাথে বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় মাহাবুব এর ছোট ভাই শহিদুল ও তার ছেলে সুজনসহ ৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বাদী নিহত মাহাবুব হাওলাদার বড় ভাই জামাল হোসেন জানান, বছর তিনেক আগে সুজন‌ ও মাহবুব এর ছেলের সাথে মারামারি হয়। তা তখনই মিমাংশা হয়েছিল। তবে এ নিয়ে সুজন এর মনে ক্ষোভ ছিল। গত ৩১ জানুয়ারি ট্রলারসহ উপজেলার রাহুতকাঠি খেয়াঘাট থেকে সুজন ও তার মামাতো ভাই রিয়াদসহ ৭/৮ জন মাহাবুব এর ট্রলারে উঠে ওপার যাবার কথা বলে। নদীর মাঝে গেলে সুজন তার চাচাকে অন্যদের নিয়ে হত্যা করে। গ্রেফতারকৃতি সুজনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে পুলিশকে জানিয়েছে ট্রলার নেয়ার জন্য মাহাবুবকে খুন করেছে। আর ওই ট্রলার বিক্রি করে দিয়েছে। তবে সুজনের বাবা এর সাথে সম্পৃক্ত ছিল কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। বাবুগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি ট্রলারসহ উপজেলার রাহুতকাঠি খেয়াঘাট থেকে নিখোঁজ হন উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মন্ডপাশা গ্ৰামের সেকেন্দার আলী হাওলাদারের ছেলে ট্রলার চালক মাহাবুব হাওলাদার। তার ভাই জামাল বাদী হয়ে ১ ফেব্রুয়ারী অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জনকে আসামি করে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয় ওইদিন রাত ১০ টার সময় রাহুতকাঠি খেয়াঘাট থেকে অজ্ঞাত নামা ৭/৮জন যাত্রীবেশে তার ভাইয়ের ট্রলারে উঠে মাঝনদীতে গিয়ে তাকে হত্যা করে ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যায়। ব্যাপক তদন্তের পরে ওই মামলায় মঙ্গলবার সকালে নিহতের ভাই শহিদ ও তার ছেলে সুজনকে আটক করা হয়। এবং সুজনের ভাষ্যমতে সুজনের মামাতো ভাই রিয়াদকে আটক করে পুলিশ। এরপর অভিযান চালিয়ে এর সাথে সম্পৃক্ত আরো ৩ জনকে আটক করা হয়। তাদের ভাষ্যমতে নিহত মাহাবুব হাওলাদার এর মরদেহ উদ্ধার করা হয় । বাবুগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছি। নিহতের ভাই শহিদুল ইসলাম এর ছেলে সুজন এর নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। তবে সুজন এর বাবা শহিদুল ইসলাম এর সাথে জড়িত কিনা তা এখনও আমরা তদন্ত করছি। মূলত ট্টলার ছিনতাই এর জন্যই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।