চরফ্যাশনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে, সরকার পতনের পর আ.লীগ নেতার অস্বীকার

আল-আমিন | ১৯:৩৫, ফেব্রুয়ারি ১১ ২০২৫ মিনিট

ভোলার চরফ্যাশনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দুই সন্তানের মাকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। তবে স্ত্রীর মর্যাদা না পেয়ে স্বামীর বাড়িতে অনশনে বসেছেন ভুক্তভোগী নারী। সোমবার (১০ ফেব্রয়ারি) বিকেলে চরফ্যাশন পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টার মহল্লায় হুমায়ুন কবির রাজনের বাড়িতে ওঠেন তিনি। কবির চরফ্যাশন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জানা গেছে, ১০ বছর আগে উপজেলার আবু বকরপুর গ্রামে ওই নারীর বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যেই ২০২৩ সালে কবিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে অবৈধ সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করেন কবির। ভুক্তভোগী জানান, সম্পর্কের জেরে তাদের বাড়িতে একাধিকবার যাতায়াত করেন কবির। ক্ষমতা দেখিয়ে নানান কথা বলতেন। এর মধ্যেই গত বছরের জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় ওঠেন তারা। কিছুদিন থাকার পর কবিরের কথামতো স্বামীকে তালাক দেন তিনি। এরপর একই বছরের ৩১ জুলাই কবিরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর গোপনে সুখেই যাচ্ছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। এরই মধ্যে গর্ভবতী হন তিনি। তবে বিপত্তি বাঁধে গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর। এমনকি আত্মগোপনে চলে যান কবির। একই সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এছাড়া রাজনৈতিক সমস্যা দেখিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্টের পরামর্শ দেন। এজন্য বাধ্য হয়ে তার বাড়িতে অনশনে বসেন এই ভুক্তভোগী। এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হলে সম্পর্ক ও বিয়ের কথা অস্বীকার করেন কবির। তিনি জানান, আত্মীয়তার সূত্র ধরেই ওই নারীর সঙ্গে পরিচয়। তার চরিত্র ভালো নয়। চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে থানা অভিযোগ করেনি কেউ। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’