স্ত্রী তালাক দেওয়ায় শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম, জামাতা আটক
এ.এ.এম হৃদয়|২০:৫৪, ফেব্রুয়ারি ১০ ২০২৫ মিনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক : মঠবাড়িয়ায় গিলাবাদ গ্রামে শনিবার রাতে স্ত্রী কর্তৃক তালাকপ্রাপ্ত জামাতা শাশুড়িকে দাও দিয়ে কুপিয়ে যখম করে। গুরুতর যখম শাশুড়ি হামিদা আক্তার রিজভী (৬০) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করার পর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। হামিদা আক্তার গিলাবাদ গ্রামের মৃত মো. হুদ মুন্সির ছেলে।
এ ঘটনায় আহত হামিদা আক্তারের মেয়ে মাছুমা বেগম (৩৫) বাদি হয়ে সাবেক স্বামী খোকনকে আসামি করে থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করে। জামাতা মো. খোকন হাওলাদারকে (৫২) স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
রবিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) খোকনকে হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। খোকন উজিরপুর উপজেলার ভাসানচর গ্রামের মৃত মো. ওসমান গণির ছেলে।
আহত হামিদা আক্তারের ভাসুরের ছেলে মো. হুমায়ুন কবির (সামাউন) জানান, তার চাচাত বোন মাসুমার সাথে খোকনের ২০০৫ সালে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর ব্যবসার সূত্রে খোকন স্ত্রী মাসুমাকে নিয়ে কেরানিগঞ্জের পুরান ভাড়াইল্লা (খালমোড়া) বসবাস করত। সেখানে খোকন স্ত্রীর নামে জমি কিনে বাড়ি করেন। তাদের ১ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান রয়েছে। গত আগষ্ট মাসে মাসুমা স্বামী খোকনকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্দ হয়ে শনিবার গিলাবাদ গ্রামে আসেন। মাগরিবের সময় সে তার শাশুড়ির হামিদা আক্তারের ঘরে গিয়ে ধারালো দাও দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন আহত হামিদাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে এবং খোকনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
মঠবাড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এব্যপারে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি খোকনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।