পটুয়াখালীতে শ্বশুরের কুলখানিতে না যাওয়ায় জামাইয়ের বাড়িতে হা’ম’লা-ভা’ঙচু’র
এ.এ.এম হৃদয়|২২:০৩, ফেব্রুয়ারি ০৯ ২০২৫ মিনিট
পটুয়াখালীর বাউফলে শ্বশুরের কুলখানিতে না যাওয়ায় জামাই বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বউয়ের বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে ১০-১২ জন এ হামলা চালায়। এ সময় জামাই পারভেজ মাতব্বর (২৭), তার মা হালিমা বেগম (৪৫) ও বোন তানজিলাকে (১৯) মারধর করা হয়।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার জমি চাষের সময় ট্রাক্টর উল্টে পারভজে মাতব্বরের শ্বশুর মানিক রাঢ়ী মারা যান। রবিবার আত্মার মাগফিরাত কামনার জন্য দোয়া মিলাদ ও খাবারের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে বউয়ের বড় ভাই সাকিল রাঢ়ী তার ভগ্নিপতিকে দাওয়াত দেন। কিন্তু মিলাদে তিনি অংশ না নেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাকিলের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ভগ্নিপতি পারেভেজ মাতব্বরের বসতঘরে হামলা চালিয়ে দরজা-কপাটসহ আসবাবপত্র, থালাবাটি ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
পারভেজ মাতব্বর অভিযোগ করে বলেন, স্ত্রী মীম আক্তারের সাথে মনোমালিন্য চলায় স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যায়। এ কারণে অভিমান করে তিনি শ্বশুরের দোয়া মিলাদ ও খাবার অনুষ্ঠানে যাননি। এ কারণে সাকিল রাঢ়ীর নেতৃত্বে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয় এবং তাকে সহ তার মা ও বোনকে মারধর করেন।
এ ঘটনা চলাকালে তার বাবা সিদ্দিক মাতব্বর থানা পুলিশকে খবর দিলে এসআই কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে তিনজন পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও হামলাকারীদের আটক করেননি। পারভেজ জানান, তার বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ি পাশাপাশি ।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাকিল রাঢ়ী বলেন, আমার বোন মীম আমাদের বাড়ি থাকে। সকালে তিনি আমার বাবার দোয়া মিলাদ ও খাবার অনুষ্ঠানের দাওয়াত দেয়া জন্য শ্বশুর বাড়ি গেলে আমার ভগ্নিপতি তাকে মারধর করে আটকে রাখে। এরপর নিজেই তার ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে দেন। পরে আমরা খবর পেয়ে ওই বাড়ি গিয়ে আমার বোনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।