টপঅর্ডারের পাঁচ ব্যাটারের চারজনই আউট দশের নিচে। শামীম পাটোয়ারী সেখান থেকে হাল ধরলেন। বলতে গেলে একাই লড়াই করলেন এবং সেটি তার ঝড় তোলা স্টাইলেই। শামীমের ৪৭ বলে ৭৯ রানের ইনিংসের পরও অবশ্য চিটাগং কিংস থেমে গেছে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানেই।
কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। এই ম্যাচে যে দল জিতবে, সরাসরি নাম লেখাবে ফাইনালে। অর্থাৎ ফরচুন বরিশালের ফাইনালে উঠতে দরকার ১৫০।
শেরে বাংলায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে চিটাগং। খাজা নাফে ৪, গ্রাহাম ক্লার্ক ৬, মোহাম্মদ মিঠুন ১ আর হায়দার আলি ফিরে যান ৭ করেই। পাওয়ার প্লের মধ্যে ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে চিটাগং।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন পারভেজ হোসেন ইমন আর শামীম পাটোয়ারী। পঞ্চম উইকেটে ৫০ বলে ৭৭ রান যোগ করেন তারা।
রিশাদ হোসেন নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে ফেরান ইমনকে। বল সমান ৩৬ রানের ইনিংসে ৩টি চার আর ২টি ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি এই ওপেনার।
শামীম বরাবরের মতো শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন। ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। চার-ছক্কায় মাঠ গরম করে রাখেন একাই।
১৯তম ওভারে বল হাতে নিয়ে চারটি উইকেট নেন বরিশালের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আলি। সবমিলিয়ে ২৪ রানে পূর্ণ করেন ফাইফার (৫ উইকেট)।
ওই ওভারেই মারকুটে শামীমকেও ফেরান আলি। ৪৭ বলে ৯ চার আর ৪ ছক্কায় শামীমের ইনিংসটি ছিল ৭৯ রানের।