কর্মহীনদের দুর্ভোগ নিরসনে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

কামরুন নাহার | ১৭:২৭, মে ০৭ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল জেলায় করোনা ভাইরাসের বিস্তাররোধ ও কর্মহীন নিম্নবিত্ত মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে ৭ দফা দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটি। বৃহষ্পতিবার (০৭ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের হাতে এ স্মারকলিপি তুলে দেন গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির আহবায়ক দেওয়ান আব্দুর রশিদ নীলু। এসময় সংগঠনের জেলা সদস্য আরিফুর রহমান মিরাজ, রুবিনা ইয়সমিন, ছাত্র ফেডারেশনের সম্পাদক সাকিবুল ইসলাম সাফিন উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, করোনার বিস্তার থেকে বাংলাদেশ তথা বরিশাল মুক্ত নয়। এই পরিস্থিতিতে সরকার একদিকে জনগনকে ঘরে থাকার ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার উপদেশ দিচ্ছে। অপরদিকে গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘোষনা করা হয়েছে আগামী ১০ মে বিপনি বিতানগুলো পুরোপুরি খুলে দেয়া হবে। লকডাউন যে উদ্দেশ্যে করা হয়, তার কোনটাই দেশে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। যা বরিশাল জেলাতে পরিলক্ষিত হয়েছে।বিশেষজ্ঞদের মতে দেশ এখনও করোনা ভাইরাসের সংক্রমনে ঝুকিমুক্ত নয়। গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির পক্ষে আহবায়ক দেওয়ান আব্দুর রশিদ নীলু বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই আমরা যতসামান্য সামর্থ দিয়ে সচেতনতামুলক প্রচার পত্র বিলি, মাক্ত ও হ্যান্ড ওয়াস প্রস্তুত এবং বিলি করার পাশাপাশি দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রি বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু আমাদের এ প্রয়াস মোটেই যথেষ্ট নয়। এ অবস্থায় মানব বিপর্যয়ের হাত থেকে বরিশালবাসীকে রক্ষা করে করোনা সংকট মোকাবেলায় আমরা কিছু দাবি তুলে ধরেছি এবং বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছি। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, দলীয় বিবেচনা না করে, ত্রাণ চুরি কঠোরহস্তে দমন করে সরকারি ত্রাণ বঞ্চিত দরিদ্র মানুষের ঘরে অবিলম্বে তা পৌছে দেয়অ, রেশন কার্ড বিতরণের তালিকা তৈরিতে দলীয়করণের নীতি রোধ করা, লকডাউন ও সাধারণ ছুটি চলকালীন সময়ে বাজার, দোকানপাটসহ সর্বত্র স্বাস্থ্যগত দুরত্ব ও লাকডাউন নিয়মবিধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা, অসাধু ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অপতৎপরতা রোধে মনিটরিং অব্যাহত রাখা, শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজে করোনা পরীক্ষার ল্যাবে টেকনোলজিস্ট সংকটের সমাধান করা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা, সরকারি নির্ধারিত মূল্যে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা এবং ক্রয়ের পরিধি বৃদ্ধি করা।