ঝালকাঠিতে ভাইকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় এনজিওকর্মী ফিরোজ হাওলাদারকে হত্যা মামলায় আপন বড় ভাই রুহুল আমিনকে (৫০) মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত রুহুল আমিন উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ভাই-বোনদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ফিরোজ হাওলাদার ঘরের টিন খুলতে গেলে ছোট ভাই রুহুল আমিন বাধা দেন। সন্ধ্যায় ফিরোজ হাওলাদার বসতঘরের সামনে বসা অবস্থায় রুহুল আমিন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এসে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফিরোজ হাওলাদারকে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান। আহত ফিরোজ হাওলাদারকে উদ্ধার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তির করার পর রাত ১১টায় মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তার স্ত্রী রানী বেগম বাদী হয়ে কাঁঠালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আসামি রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাঁঠালিয়া থানার উপপদর্শক (এসআই) কাইউম বাহাদুর ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে রুহুল আমিনের যাবজ্জীবন সাজার রায় ঘোষণা করেন।
নয় মাস সাজাভোগের পর রুহুল আমিন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এরপর যাবজ্জীবন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। সরকার পক্ষে আইনজীবী (পিপি) মাহেব হোসেন ও আসামি পক্ষে খান শহিদুল ইসলাম মামলা পরিচালনা করেন।