আসছে মানুষ, তিল ধারণের ঠাঁই নেই

কামরুন নাহার | ১১:১৮, মে ০৭ ২০২০ মিনিট

রিপোর্ট দেশ জনপদ।। শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে লোকে লোকারণ্য। যেন ঈদ উৎসব। তিল ধারণের ঠাঁই নেই ফেরিঘাট আর রিকশা-আটো স্ট্যান্ডে। গত ১০ দিনের যাত্রীর ঢলকে হার মানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ৭ মে ঢাকা গার্মেন্টকর্মীদের থেকেও বেশি যেন হয়ে পড়েছে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল। জীবন যাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এমন চিত্রই আজ সকালে দেখা গেছে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে। শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরিতে করে আসছে শত শত ঢাকামুখী যাত্রী। সরকার মার্কেট খুলে দেওয়ার ঘোষণায় এসব যাত্রীরা দক্ষিণবঙ্গের নিজ বাড়ি হতে লকডাউন ভেঙে ঢাকামুখী হতে শুরু করেছে। প্রতিটি ফেরিতেই শত শত লোক পার হয়ে আসছে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই যানবাহনের স্ট্যান্ডগুলোতে। বাস না থাকায় অটোস্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ঢাকা যাবার জন্য তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। তবে বাস না পেয়ে গত ১০ দিনের মতো আজও আটো, টেম্পো, নসিমন, করিমন, মাইক্রো, থ্রি হুইলার, ইয়েলোক্যাব, রেন্ট-এ-কার ও শত শত মোটরসাইকেলে এসব যাত্রীদের ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে। উবার বন্ধ থাকায় উবাবের মোটরসাইকেলগুলো এখন শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকায় প্রতিনিয়ত অফলাইনে যাতায়াত করছে। যারা সিঙ্গেল যাত্রী তারা মোটরসাইকেলে ঢাকায় চলে যাচ্ছে। তবে এ পথে ঢাকায় যেতে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, আজ সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল দেখা গেছে। গার্মেন্টকর্মীদের ঢাকামুখী চলাকেও হার মানিয়েছে আজ সকালের যাত্রীর চাপ। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এখন ছুটছে ঢাকার কর্মস্থলে। করোনার কোনো ভয় নেই তাদের মাঝে। মনে হচ্ছিল ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে তারা ছুটছে স্বজনদের কাছে।