পটুয়াখালীতে ঘাটের টোল তোলা নিয়ে সং’’ঘ’’র্ষ, মৎস্যজীবী দলের নেতাসহ আ’হ’ত ২
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আলীপুর মৎস্য বন্দরে বিআইডব্লিউটিএ’র ইজারা দেওয়া ঘাটের টোল তোলাকে কেন্দ্র করে ইজারাদারের প্রতিনিধির সঙ্গে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মহিপুর থানা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন মাঝি ও ইজারাদারের প্রতিনিধি নুরু মিয়া আহত হয়েছেন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর বাজারের পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত নুরু মিয়াকে কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রুহুল আমিনকে কুয়াকাটা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কুয়াকাটা হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক মুমশাদ সায়েম পুনম বলেন, ‘নুরু মিয়াকে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠানো হয়েছে। আর রুহুল আমিনকে শের-ই-বাংলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলীপুর মৎস্য বন্দরে বিআইডব্লিউটিএর ঘাটের ইজারা নেন তামিম মুন্সী। তিনি মাছ ধরা ট্রলার ও নৌযান থেকে টোল তোলার জন্য নুরু মিয়াকে প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব দেন। সোমবার বেলা ১১টার দিকে টোল তুলছিলেন নুরু মিয়া। এ সময় রুহুল আমিন কীসের টাকা তুলছেন জানতে চাইলে তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান নুরু মিয়া। একপর্যায়ে দুজনের হাতাহাতি হয়। পরে ঘাটের লোকজন বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। কিছুক্ষণ পর নুরু মিয়া ও লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হাওলাদারের নেতৃত্বে রুহুল আমিনের ওপর হামলা চালানো হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে নুরু মিয়া বলেন, ‘আমি ঘাটের ইজারাদার তামিম মুন্সী প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে টোল তুলে আসছি। আজ সকালে টোল তোলার সময়ে রুহুল আমিন বাধা দেন এবং আমাকে মারধর করেন। তার মারধরে আমার মাথা ফেটে রক্তক্ষরণ হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছি। পরবর্তীতে রুহুল আমিনের ওপর কারা হামলা করেছে, তা আমার জানা নেই।’
ঘাটের ইজারাদার তামিম মুন্সী বলেন, ‘আলীপুর মৎস্য বন্দরে বিআইডব্লিউটিএর ঘাটের ইজারা নিয়েছি আমি। নুরু মিয়াকে টোল তোলার দায়িত্ব দিয়েছি। বিআইডব্লিউটিএর নিয়ম মেনেই টোল তোলা হয়। এর মধ্যে হঠাৎ করে আজ টোল তোলা নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।’
লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম হাওলাদার বলেন, ‘ওই ঘাটে টোল তোলা নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আছে। আপাতত ঘাটের টোল তোলার কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি নুরু মিয়া আমাদের দলের কেউ নয়।’
ঘটনার বিষয়ে জানতে রুহুল আমিনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’