বরিশাল নগরীতে মোবাইল কোর্টে ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা

কামরুন নাহার | ১৭:৪৭, মে ০৬ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক।। বরিশাল জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজও বরিশাল নগরীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত আছে। আজ ৬ মে বুধবার সকাল থেকে বরিশাল নগরীর চৌমাথা মোড়, নথুল্লাবাদ, বাংলা বাজার, আমতলার মোড়, কাঠপট্টি বেটতলা বাজার, ফকির বাড়ি ও চকবাজার, গীর্জা মহল্লা এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে বিশেষ বাজার মনিটরিং, জনসমাগম করে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মেয়াদ উত্তির্ন পণ্য বিক্রয় করার অপরাধ পতিহত করার লক্ষ্যে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে ৪টি প্রতিষ্ঠান কে মোট ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। নগরীর বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল মোঃ জিয়াউর রহমান। অভিযান পরিচালনাকালে এসময় ১৩০ টাকার হেক্সিসল ২০০ টাকায় বিক্রি করার অপরাধে সদর রোডের মেডিসিন প্লাস নামক একটি ফার্মেসিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এসময় জানা যায়, সুমন মেডিকেল হল নামক একটি পাইকারি ঔষধের দোকান থেকে মূল্যবৃদ্ধির ফলেই মূলত পুরো বরিশাল শহরে হেক্সিসলের খুচরা মূল্য বেশি। নগরীর ফকির বাড়ি রোডে সুমন মেডিকেল হলে গিয়ে দেখা যায়, ১১৫ টাকা পাইকারি মূল্যে কেনা হেক্সিসল (যার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩০ টাকা) ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উপস্থিত একাধিক ফার্মেসি দোকানদার ও দোকান কর্মচারীদের সাথে কথা বলে সত্যতা নিশ্চিত করা হয়। এসময় দেখা যায় অন্যান্য পণ্যের বিক্রি রশিদ থাকলেও উর্ধ্বমূল্যে বিক্রির কারণে হেক্সিসল বিক্রির কোন রশিদ নেই। পরবর্তীতে সুমন মেডিকেল হলের প্রোপ্রাইটর রফিকুল ইসলাম অভিযোগ স্বীকার করে পরবর্তীতে আর এ ধরনের কাজ করবেন না বলে জানান। হেক্সিসল অধিক মূল্যে বিক্রির জন্য এ সময় তাকে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ ধারা মতে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করে একই পণ্য বিভিন্ন মূল্যে বিক্রি করার অপরাধে ফলপট্টি এলাকার দুটি ফলের দোকানকে ৫০০ টাকা করে মোট ১ হাজার টাকার অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অভিযানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা র‍্যাব-৮ এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের আলাদা আলাদা দুটি টিম। অভিযান শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জানান, জনস্বার্থে বরিশাল জেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।