বরিশালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় চিকিৎসক জেলে
নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর করা ধর্ষণ মামলায় সাকিল আহমেদ (৩১) নামে এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান।
গ্রেপ্তার চিকিৎসক সাকিল আহমেদ ঢাকার উত্তরখান থানার মাস্টারপাড়া এলাকার আজগর আলীর ছেলে। ওই চিকিৎসক এমবিবিএস পাসের পর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি কোর্স করতে এসেছিলেন। সাকিল আহমেদ ঢাকার সিটি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করেন।
মামলার বরাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীর সঙ্গে ২০১৬ সালে সাকিলের পরিচয় হয়। ভুক্তভোগী তখন নবম শ্রেণিতে পড়তেন।
তাকে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন সাকিল। সম্প্রতি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি কোর্স করতে আসেন ভুক্তভোগী।
সাকিলকে বিয়ের তাগাদা দিলে তিনি ভুক্তভোগীকে বরিশাল নগরের ধান গবেষণা রোডে চিকিৎসকের ভাড়া বাসায় আসার প্রস্তাব দেন। বুধবার সকালে সাকিলের বাসায় গেলে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। তখনও বিয়ের কথা নিয়ে তালবাহানা করেন সাকিল।
এরপর ভুক্তভোগী থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় সাকিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে কোতোয়ালি মডেল থানার নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই এনামুল হক বলেন, মামলার আসামি হিসেবে চিকিৎসককে বরিশাল অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে আসামি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।