শেবামেক’র টেকনোলজিস্ট একমাস অনুপস্থিত

কামরুন নাহার | ১৫:৩৩, মে ০৫ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রয়েছে তীব্র জনবল সংকট। তারপরেও করোনা পরিস্থিতিতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সেবায় ছুটিবিহীন কাজ করে যাচ্ছেন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের (শেবামেক) আরটি-পিসিআর ল্যাব সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, টেকনোলজিষ্ট ও সাপোর্ট স্টাফরা। গত ৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত এখানকার ল্যাবে করোনার ১ হাজার ৭শ’ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দিনরাত কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছেন সংশ্লিষ্টরা। অথচ এই দুর্দিন ও জনবল সংকটের মাঝেও মাহমুদা খানম নামে শেবামেকের এনাটমি বিভাগের এক মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট কোনো কারণ ছাড়াই গত এক মাস ধরে অফিসে অনুপস্থিত রয়েছেন। কর্তৃপক্ষও তার এ অনুপস্থিতির ব্যাপারে অবহিত নয় বলে জানিয়েছে। সূত্রমতে, অনেক বছর ধরেই শেবামেকে টেকনোলজিস্ট সংকট রয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন বিভাগে চার নারীসহ মোট ১২ জন টেকনোলজিস্ট কাজ করছেন। এই জনবল সংকটের মধ্যেও আটজন টেকনোলজিস্ট নিয়ে মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে করোনা পরীক্ষার আরটি-পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এই আটজনের মধ্যে মাহমুদা খানম নেই। আর সেই সুযোগেই এ্যানাটমি বিভাগের হিস্টোলজি ল্যাবের মেডিক্যাল টেকনোজিস্ট মাহমুদা গোটা এপ্রিল মাসের মধ্যে একদিনও অফিসে আসেননি। শুধু তাই নয়; মার্চ মাসেও ১৬ দিন কর্মস্থলে না গিয়ে ‘অনৈতিকভাবে’ হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়েছেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাহমুদা খানম বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। শারিরীকভাবে অসুস্থবোধ করায় কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ছুটির আবেদনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা সুশীল চন্দ্র বলেন, মাহমুদা খানম একটি ছুটির দরখাস্ত দিয়েছিলেন কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেটি পাশ করেনি। দরখাস্ত পাশ হওয়ার আগেই তিনি অফিসে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।