চরমোনাইতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নাইট গার্ডের ঘর পুড়ে ছাই
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাইতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শাকিল হাওলাদার নামের এক নাইট গার্ডের ঘর ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। চরমোনাই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড পশুরীকাঠী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত শাকিল হাওলাদার ওই গ্রামের নেহাল হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চরমোনাইতে নির্মাণাধীন হাসপাতালে নাইট গার্ডের কাজ করেন শাকিল। প্রতিদিনের ন্যায় তিনি কাজে যান। এদিকে তিনি বাড়িতে না থাকা তার স্ত্রী ছেলেকে পাশের বাড়িতে ঘুমাতে যান। হঠাৎ মাঝ রাতে স্থানীয়দের চিৎকার শুনে তার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে ঘেরে অগুন লেগে সব পুড়ে যাচ্ছে। পরে তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকদের সম্মিলিত চেষ্টায় প্রায় এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ঘরে থাকা সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ধারণা করা হচ্ছে- বৈদ্যতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
স্থানীয় লিটন বলেন- ঘরে কেউ ছিল না সবাই বেরাতে গিয়েছিল। বৈদ্যতিক তারে শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লাগে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা আগুন নিভাতে চেষ্টা করি কিন্তু এরই মধ্যে ঘরের সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় রাকিব নামের এক যুবক বলেন- ঘুমের মধ্যে হঠাৎ চিৎকার শুনে বের হয়ে দেখি ঘরের ভিতর আগুন জ্বালছে। মূহুর্তের মধ্যে আগুন ঘরের চারোপাশে ছড়িয়ে পরে স্থানীয় লোকজন চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও মালামাল পুড়ে গেছে। কিন্তু ঘরে কেউ না থাকায় কারো কোন ক্ষতি হয়নি।
ক্ষতিগ্রস্থ শাকিল কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন- আমি রাতে চরমোনাইতে নির্মাণাধীন হাসপাতালে নাইট গার্ডের কাজ করি। আমার স্ত্রী ও ছেলে পাশের খালার ঘরে ছিলো। হঠাৎ রাত আড়াইটার দিকে আমাকে কল করে বলে ঘরে আগুন লেগেছে। আমি তাত্ক্ষণিকভাবে ছুটে আসি। এসে দেখি আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমি কাজ করে আয় করেছি সবকিছু দিয়ে বাড়িটা বানিয়েছিলাম। আমার আর কিছু নেই, আমি শেষ হয়ে গেছি। এমনকি কয়েকদিন আগে ঋন নেয়অ ৫০ হাজার টাকা ঘরে ছিলো তাও পুড়ে গেছে। এখন আমি কি করবো জানিনা, আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।