বাউফলে রাতে রিকশা চালাতে পুলিশের বাধা

এ.এ.এম হৃদয় | ১৯:৪১, ডিসেম্বর ১২ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব  প্রতিবেদক : পটুয়াখালীর বাউফল পৌর শহরে রাত ১২টার পর রিকশা চালাতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন টহল পুলিশের এক এএসআই। তবে বাউফল থানার ওসির ভাষ্য, রাতে রিকশা বন্ধের কোনো নির্দেশ দেয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে রিকশা চালকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। চালকদের বসতে দেয়ায় পাহাদারকেও গালমন্দ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রিকশা চালকরা জানান, গত দুইদিন ধরে বাউফল থানার এএসআই মশিউরের নিষেধাজ্ঞায় তারা রাতে রিকশা চালাতে পারেন না। এতে করে ঢাকা থেকে বাউফলে আসা বাস যাত্রীরা বিপাকে পড়ছেন। অন্যদিকে রিকশা চালাতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দ্রব্যমূল্যের বাজারে অভাবে পড়তে হচ্ছে তাদের। রিকশা চালকদের অভিযোগ, গত রোববার ও সোমবার রাতে পৌর শহরের গোলাবাড়ি এলাকায় হঠাৎ এসেই তাদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ শুরু করেন পুলিশের এএসআই মশিউর রহমান। একপর্যায়ে তাদের লাঠি নিয়ে ধাওয়া দেয়া হয় এবং তাদের বসতে যায়গা দেয়ায় পাহাদারকেও গালমন্দ করে এই পুলিশ সদস্য৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রিকশা চালক বলেন, ‘পুলিশ আগের মতই আচরণ করে। কতা হোনে না আইয়াই গাইল শুরু করে। এই কনকনে শীতে প্যাটের ক্ষুধা না থাকলে কেউ রাস্তায় নামে না। আমাগো কষ্ট কেউ বোঝে না।’ স্থানীয় পাহাদার বলেন, রাতে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে একাধিক যাত্রী আসে। রিকশা না পেলে তারা গন্তব্যে যেতে পারে না। সকাল পর্যন্ত রাস্তায় বসে থাকে। রিকশা চালকদের বসতে দেয়ার অপরাধে তিনি (পুলিশ সদস্য) আমাকেও গালমন্দ করেছেন। এ ব্যাপারে বাউফল থানা পুলিশের সেই এএসআই মশিউর রহমান বলেন, আমি তাদের গালাগাল করিনি, এই অভিযোগ মিথ্যা। তবে রাতে রিকশা চালাতে নিষেধ করেছি। কারণ রিকশা চালকরা নানা অপকর্মে জড়িত থাকে। তারাও চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত। তাছাড়া রাত ১২টার পরে ভালো মানুষ রাস্তায় থাকে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, রিকশা চালাতে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। যেসব রিকশা চালক অপকর্মে জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে কাজ করছে পুলিশ। অপরাধে জড়িত রিকশা চালকদের আইনের আওতায় নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।