মুসলিমদের সমস্যা সমাধানে এক হচ্ছে ৫ দেশ

কামরুন নাহার | ০৪:২০, নভেম্বর ২৪ ২০১৯ মিনিট

তুরস্ক, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং কাতারকে সঙ্গে নিয়ে নতুন পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন আধুনিক মালয়েশিয়ার কারিগর ড. মাহাথির মোহাম্মদ।সামরিক শক্তিতে মুসলিম বিশ্বের শক্তিশালী দেশ তুরস্ক। মুসলিম বিশ্বের একমাত্র পরমাণু শক্তিধর দেশ পাকিস্তান। ৫ হাজার দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া এবং মাথাপিছু আয়ের হিসেবে শীর্ষ ধনী দেশ কাতার। এ লক্ষ্যে ‘কুয়ালালামপুর সামিট-২০১৯’ নামে আগামী মাসেই এ বিষয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করছে দেশটি। ডেইলি সাবাহ আরবির খবরে বলা হয়, ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা নিত্যনতুন সমস্যার সমাধানের প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ এ উদ্যোগ নিয়েছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে মাহাথির বলেন, ২০১৯ সালের ১৮ থেকে ২১ ডিসেম্বর ‘কুয়ালালামপুর সামিট-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হবে। শুরুতে অল্প কয়েকটি দেশ নিয়ে আমরা বসতে যাচ্ছি। পরে এ ব্যাপ্তি বাড়তে পারে বলে আভাস দেন তিনি। মাহাথির বলেন, অনেকগুলো দেশ একসঙ্গে বসলে বিভিন্ন মতানৈক্য সৃষ্টি হতে পারে যা মুসলিম উম্মাহর সমস্যা সমাধানের পথে বাধা হতে পারে। তবে ভবিষ্যতে অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে বলে আশা করেন মাহাথির। ‘কুয়ালালামপুর সামিট-২০১৯’ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, কাতারের আমির শেখ তামিম হামাদ আল-ছানি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করেন মাহাথির মোহাম্মদ।তিনি বলেন, আমরা চাই মুসলমানরা এই উদ্যোগকে সমর্থন করবে এবং এর মাধ্যমে আমরা বিশ্বের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে পারব।কুয়ালালামপুর সামিটে মুসলিম বিশ্বের ৪৫০ জন নেতা, রাজনীতিবিদ এবং চিন্তাবিদ অংশগ্রহণ করবেন জানিয়ে মাহাথির বলেন, অতীতে মুসলমানরা সভ্যতায় ব্যাপক অবদান রাখলেও এখন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে। আমাদের জানতে হবে কেন ইসলামকে সন্ত্রাসবাদের ধর্ম হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে এবং কেন সেখানে ইসলামোফোবিয়া রয়েছে। এর পেছনে অবশ্যই কারণ থাকতে হবে।