নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শিক্ষার্থীকে ক্লাসরুমে যৌন হয়রাণির অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া খণ্ডকালীন শিক্ষক মাইদুল ইসলামের অযৌক্তিক কর্মকাণ্ডে বরিশাল নগরীর হালিমা খাতুন স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের স্কুল বিমুখ করতে অযৌক্তিক দাবি লিখে লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সবশেষ রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে স্কুলে পাঠদান কার্যক্রম চলার সময় বহিরাগতদের নিয়ে বিক্ষোভ করেন ওই বহিষ্কৃত শিক্ষক। এতে ক্লাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে উপস্থিত অভিভাবকদের তোপের মুখে ওই শিক্ষক চলে যায়।
এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহতের চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছে অভিভাবকরা। তার এমন কার্যক্রমে চরম বিপাকে পড়েছে ৩ হাজার শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা। কেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন? এমন প্রশ্ন করলে বরখাস্ত শিক্ষক মাইদুল কোন উত্তর দিতে পারেননি। ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ফকরুজ্জামান জানিয়েছেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রাণির ঘটনায় মামলা হয়। এই ঘটনায় চলতি বছর স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি আইন মেনে তাকে বহিষ্কার করে। এরপর থেকেই তিনি এমন কার্যক্রম করছেন। একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, কয়েক মাস ধরে বরখাস্ত হওয়া ওই শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে অযৌক্তিক দাবি সম্বলিত লিফলেট তুলে দেন। এরপর তিনি ক্লাস বর্জনের জন্য আমাদের চাপ প্রয়োগ করেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিতে শিক্ষার্থীদের চাপ প্রয়োগ করে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
অভিভাবকরা বলেন, এর আগেও তিনি একাধিকবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গোপনে লিফলেট বিতরণ করেছেন। ওই শিক্ষকের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আমাদের (অভিভাবকদের) কাছে এসে অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে স্কুলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বলছেন, শিক্ষার্থীদেরও স্কুল বিমুখ করছেন। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার বার এমন ঘটনা ঘটনায় আমরা বিব্রত।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস এম ফকরুজামান বলেন, স্কুলের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটানোর কারণে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তৗ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনানুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানান তিনি।