বরিশালে চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ীকে মারধর করলো বিএনপি নেতারা!
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরির কাটপট্টি এলাকায় চাঁদা না পেয়ে বিএনপি নেতা মাকসুদের নেতৃত্বে সোহায়বুর রহমান সায়েম নামের এক ব্যাবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে নগরীর কাঠপট্টি এলাকার স্টার টাওয়ার সংলগ্ন সোনালী ইলেকট্রনিক্সে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সোহায়বুর রহমান সায়েম সোনালী ইলেক্ট্রনিকসের মালিক। অপরদিকে অভিযুক্তরা হলেন- ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাকসুদুর রহমান মাকসুদ, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি সামছুল আলম, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি সদস্য সচিব আমিনুর রহমান মিলন, বিএনপি নেতা সবুজ ও খোকনসহ ৮/১০ জনের একটি দল।
সায়েম অভিযোগ করে বলেন- আমি এই মার্কেটের একটি দোকান ভাড়া নেই। ভাড়া নেয়ার পর থেকেই ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাকসুদুর রহমান মাকসুদের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন আমার বাসায় গিয়ে দোকানের জন্য ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তখন আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করি। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাত ৮টার দিকে মাকসুদুর রহমান মাকসুদের নেতৃত্বে মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি সামছুল আলম, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি সদস্য সচিব আমিনুর রহমান মিলন, বিএনপি নেতা সবুজ ও খোকনসহ ৮/১০ জনের একটি দল আমার দোকানে এসে পুনরায় ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন তারা। এক পর্যায় তারা চর-থাপ্পড় মেরে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমি ডাক-চিৎকার দেই। এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ছুটে আসলে আমাকে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়।
এ ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার একটি ফুটেজ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
সায়েম বলেন- চাঁদার দাবিতে আমাকে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেব। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় ইলেক্ট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মনির হোসেন খান বলেন- আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এসে শুনলাম- কয়েকজন বিএনপির নেতারা এসে সায়েমকে মারধর করে চাঁদা চেয়েছে। এর বেশি কিছু আমি জানিনা।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন- বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।