বরিশালে চাঁদার দাবীতে প্রবাসীর ঘরে কথিত বিএনপি নেতার তালা

এ.এ.এম হৃদয় | ২১:৫৯, আগস্ট ২৬ ২০২৪ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরীর ২২নং ওয়ার্ডস্থ নবগ্রাম রোডের যুবক হাউজিং এর সামনে চাঁদার দাবীতে কুয়েত প্রাবাসী আবদুর রহমান খান (রিপনের) ঘরে তালা মেরে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ঐ ব্যাক্তির নাম এবিএম মহসিন খান বাসার। তার বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজি মামলাসহ মোট ২৬টি মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। চাঁদাদাবীর ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসী রিপনের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার ঝুনু গত ২১ আগস্ট বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরে থানার এসআই মোঃ সেলিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ২২নং ওয়ার্ডস্থ নবগ্রাম রোডের আবদুর রশিদ খানের কুয়েত প্রবাসী পূত্র রিপনের ২তলা ভবনটি চাঁদারদাবীতে গত ২১ আগস্ট তালা মেরে দিয়েছেন ২২নং ওয়ার্ডের স্ব ঘোষিত বিএনপি নেতা একাধিক চাঁদবাজি মামলাসহ ২৬টি মামলার আসামী মহসিন খান বাসার। ভুক্তভোগী তাসলিমা আক্তার ঝুনু জানান, আমার স্বামী দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত কুয়েতে থাকার কারনে বিভিন্ন সময় আমার কাছে অবৈধভাবে মোটা অংকের চাঁদাদাবী করে আসছেন মহসিন খান বাসার। আমি তার দাবিকৃত চাঁদা দিতে অপ্রগতা প্রকাশ করলে গত ২১ আগস্ট আমার ২তলা ভবনে তালা মেরে রেখেছেন। গত ৫দিন ধরে আমরা ঘরে ঢুকতে পারছি না। চাঁদা না দিলে সন্ত্রাসী বাসার জিলা স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া আমার পূত্র আহমেদ সালমানকে যে কোন সময় গুম ও খুন করার হুমকি দিয়েছেন। আমি তার অত্যাচারে ও হুমকিতে আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি। অভিযুক্ত বাসার ফের আজ (২৬ আগস্ট) সোমবার চাঁদার দাবীতে আমার স্কুল পড়ুয়া পূত্র আহমেদ সালমানকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আঘাতের ভয় দেখান। পরে আমার সেনাবাহিনীর নাম্বারে কল দিয়ে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য ঘটনাস্থলে আসলে তাদের কাছে মাফ চায় বাসার। সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পর বাসার হুমকি দিয়ে বলে, আমি ২২নং ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা। বর্তমানে দেশ নিয়ন্ত্রন করছে বিএনপি। বিএনপি করি বিধায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় আমাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায় পুলিশ। হাসিনার পতনের পর আমাকে অটো মুক্তি দেয়া হয়েছে। সামনে আমি বিএনপির গুরুত্বপূর্ন পদ পদবীতে আসব। এই নবগ্রাম রোডে কে আমার চেয়ে বিএনপির বড় নেতা কে?। সূত্রে জানা গেছে, এবিএম মহিসন খান বাসারকে প্রধান আসামী করে ২২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ নাজির উদ্দিনের পূত্র মোঃ মিরাজ উদ্দিন বাদী হয়ে গত ২৮ এপ্রিল বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৭/২৪। একই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ২২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আলাউদ্দিন হাওলাদারের পূত্র ভুক্তভোগী মোঃ আজাহার উদ্দিন বাদী হয়ে এবিএম মহিসন খান বাসারকে প্রধান আসামী করে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৯৪/২৪। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিহ্নিত চাঁদাবাজ এবিএম মহিসন খান বাসারের বিরুদ্ধে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় প্রায় অর্ধশত মামলা রয়েছে। যার নং-৯৭/২০১৫। ২০১/২০১৯। ৯৮/২০১৯। ৩৯/২০১৯। ৩৩/২০১৯। ১৫/২০১৮। (বিমানবন্দর থানা)। ৩৩/২০১৮ (বরিশাল কোতয়ালী থানা)। ২২৮/২০১১ (সিআর)। ৫৬৫৯/২০১৭। ২৬৭/২০১৭। ২৪৫/২০১১। ১৬৭৫/২০১৭। ৮৪৪/২০১৭। ২০/২০১৭। ১৭৭/২০১৭। ৯৪১/২০১৭। ৫৫৭/২০১৯। ৩৩৪/২০১৯। ১১৬৭/২০১৮। ১১৬৬/২০১৮। উপরে উল্লেখিত প্রতিটি মামলার প্রধান আসামী এবিএম মহিসন খান বাসার। চাঁদাবাজ বাসারের হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ প্রশাসন ও বরিশাল বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রী তাসলিমা আক্তার ঝুনু।