সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সুরক্ষিত ছিল বরিশালের সব থানা

এ.এ.এম হৃদয় | ২১:১৫, আগস্ট ২৬ ২০২৪ মিনিট

ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশের বিভিন্ন থানায় হামলা ভাঙচুর চালানো হলেও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কোনো থানায় হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। চারটি থানা নিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠিত। এরমধ্যে রয়েছে কোতোয়ালি মডেল থানা, বন্দর থানা, বিমানবন্দর (এয়ারপোর্ট) থানা ও কাউনিয়া থানা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতা নিরসনে এসব থানার পুলিশ সদস্যরা ব্যাপক ভূমিকা রাখায় এসব থানায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছিল বরিশালে। এসময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ এবং পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। ওইসময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিকে কুপিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধরা। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১৬ জন। আহত হন পুলিশ, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও আন্দোলনকারীসহ শতাধিক। বিক্ষোভকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের বাসভবন, দুদক কার্যালয় এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয়। পুড়িয়ে ফেলা হয় ২৫টির বেশি মোটরসাইকেল। ভাঙচুর করা হয় একটি অ্যাম্বুলেন্স। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশের একার পক্ষে এই অবস্থা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে গত ৫ আগস্ট দুপুরের দিকে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা কাউনিয়া থানায় হামলা চালাতে গেলে পুলিশ তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে বরিশাল সেনা ক্যাম্পের একটি টিম লেফটেন্যান্ট কর্নেল আল-আমিন ও মেজর মোহাম্মদ রাশেদ খানের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে তারা সেখানে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে কথা বলে তাদের নিবৃত্ত করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। মেজর মোহাম্মদ রাশেদ খান জানান, বরিশালে সেনা মোতায়েনের পর থেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। সেই দায়িত্ব থেকে গত ৫ আগস্ট কাউনিয়া থানায় হামলা চেষ্টার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের নিবৃত্ত করা হয়। এসময় পুলিশ সদস্যরাও সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন বলে জানান তিনি। কাউনিয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে সকালের দিকে একদল দুর্বৃত্ত থানা ভবন ঘেরাও করে। এসময় তারা হামলা ও লুটপাটের চেষ্টা চালান। পুলিশ সদস্যরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।