বরগুনায় ডোবায় অটোচালকের লাশ, বস্তা দিয়ে বাঁধা ছিল মুখমণ্ডল
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরগুনার আমতলীতে ডোবা থেকে মুখমণ্ডল বাঁধা অবস্থায় এক অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের জাকিরতবক এলাকার একটি ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরেক অটোরিকশাচালককে আটক করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর সার্কেল এএসপি আবদুল হালিম। নিহত সুজন ফরাজী একই এলাকার বাক্প্রতিবন্ধী বাদল ফরাজীর ছেলে। আটক ব্যক্তির নাম জুয়েল সিকদার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুজন ফরাজী গত বৃহস্পতিবার ফজরের আজানের পর তাঁর অটোরিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হন।
দিন গড়িয়ে গেলেও তিনি আর বাসায় ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সুজনের কোনো সন্ধান পাননি স্বজনেরা। গতকাল শুক্রবার বরগুনা থানায় নিখোঁজের ঘটনা উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে সুজনের পরিবার। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে জাকিরতবক এলাকার আবুল খানের বসতঘরের পেছনের ডোবায় প্লাস্টিকে বস্তা দিয়ে মুখমণ্ডল বাঁধা একটি মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। পরে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে বস্তা খুলে মরদেহটি সুজনের বলে শনাক্ত করা হয়।
নিহত সুজনের স্ত্রী লিমা বেগম বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পরে এক ব্যক্তির মাছের ট্রিপ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় সুজন। পরে মোবাইল ফোনে মুরগি নিয়ে আসার কথা বললে টাকা নেই বলে ফোনটি কেটে দেন।এরপর আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। তাকে খুঁজে না পেয়ে আমরা থানায় জিডি করেছি। আজকে শনিবার সকলে ফোন আসে সুজনের লাশ পাওয়া গেছে। আমার স্বামীর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করছি।’
বরগুনা থানার ওসি জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। বরগুনা সদর সার্কেল এএসপি আব্দুল হালিম বলেন, কয়েক দিন আগে কেওয়াবুনিয়ায় একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছিল।
এরপর সুজন নামের একজন অটোরিকশাচালক নিখোঁজ হন। পরে থানায় তাঁর স্বজনেরা জিডি করেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে জুয়েল শিকদার নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলমান আছে, অপরাধী যে–ই হোক শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।